Free Porn
xbporn

buy twitter followers
uk escorts escort
liverpool escort
buy instagram followers
Saturday, July 27, 2024
HomeScrollingবেনামাজি মানুষের পরকাল কেমন হবে

বেনামাজি মানুষের পরকাল কেমন হবে

মুসলমানদের জন্য সালাত বা নামাজ সুনির্দিষ্ট ফরজ ইবাদত ও ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ। ঈমান আনার পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো নামাজ। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে, ইশারায়—যে অবস্থায় সম্ভব নামাজ ছাড়া যাবে না। একজন মুমিন ঘরে-বাইরে, পথে-ঘাটে, দেশে-বিদেশে, সাগরে-মহাকাশে যেখানেই অবস্থান করে, তাকে নামাজ পড়তেই হবে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘…নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

নামাজ দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ বিধান
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু করো।’ (সুরা বাকারা: ৪৩) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং আপনি নামাজ কায়েম করুন দিনের দুই প্রান্তে ও রাতের কিছু অংশে। নিশ্চয়ই নেক আমল মন্দ কর্মগুলোকে দূর করে দেয়। স্মরণকারীদের জন্য এটি একটি স্মারক।’ (সুরা হুদ: ১১৪) এই আয়াতে বর্ণিত দিনের দুই প্রান্ত ও রাতের কিছু অংশের নামাজ হলো ফজর, জোহর, আছর, মাগরিব ও এশা।

যে ব্যক্তি নামাজ পড়ে না তার ঈমান খুবই দুর্বল। ইসলামে তার হিস্যা খুব সামান্যই। নামাজ না পড়াকে মহানবী (স.) কুফরি কাজ ও অবিশ্বাসীদের স্বভাব বলে সাবধান করেছেন। এক হাদিসে এসেছে, যার ভেতর নামাজ নেই, তার ভেতর দ্বীনের কোনো হিস্যা নেই। (মুসনাদে বাজ্জার: ৮৫৩৯) নামাজের মাধ্যমে ঈমান ও কুফরের পার্থক্য হয়। জাবির (রা.) বলেন, আমি নবী (স.)-কে বলতে শুনেছি, বান্দা এবং শিরক ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সালাত ছেড়ে দেওয়া। (মুসলিম: ১৪৮)

নামাজ না পড়ার পরকালীন শাস্তি
নামাজ না পড়া জাহান্নামে যাওয়ার কারণ। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘(জাহান্নামিদের জিজ্ঞাসা করা হবে) তোমাদের কোন জিনিস সাকারে (জাহান্নাম) নিক্ষেপ করেছে? তারা বলবে, আমরা সালাত আদায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না।’ (সুরা মুদ্দাসসির: ৪২-৪৩)

পবিত্র কোরআনের ঘোষণা অনুযায়ী, কেয়ামতের দিন বেনামাজিকে জাহান্নামের গভীর গর্তে নিক্ষেপ করা হবে। নূহ, ইবরাহিম ও ইসরাঈল (আ.)-এর ব্যাপারে বর্ণনার পর মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাদের পরে এল অপদার্থ পরবর্তীরা, তারা সালাত নষ্ট করল ও প্রবৃত্তির অনুসরণ করল। সুতরাং তারা অচিরেই ‘গাইয়া’ প্রত্যক্ষ করবে।’ (সুরা মরিয়ম: ৫৯)

‘গাইয়া’ হলো, জাহান্নামের একটি নদীর তলদেশ, যার গভীরতা অনেক, যেখানে আছে রক্ত ও পুঁজের নিকৃষ্টতম আস্বাদ। (তাফসিরে ইবনে কাসির) ‘গাইয়া’ জাহান্নামের একটি উপত্যকার নাম। (তাফসিরে কাশশাফ ও নাসাফি)

আসলে মুসলমান হয়েও নামাজ না পড়া খুবই দুঃখজনক। আল্লাহ তাআলার সরাসরি নির্দেশ অবজ্ঞা করা সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন মুমিনের কাজ হতে পারে না। নামাজ না পড়ার খুব অপমানজনক শাস্তির কথা আছে কোরআন-হাদিসে। কেয়ামতের দিন বেনামাজি সর্বপ্রথম যে অপদস্থতা ও লাঞ্ছনার শিকার হবে, কোরআনের একটি আয়াতে তার বিবরণ এসেছে এভাবে— ‘স্মরণ করো সেদিনের কথা, যেদিন পায়ের গোছা উন্মোচন করা হবে। সেদিন তাদের আহ্বান করা হবে সেজদা করার জন্য, কিন্তু তারা সক্ষম হবে না। তাদের দৃষ্টি অবনত, হীনতা তাদের আচ্ছন্ন করবে। অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল, তখন তো তাদের আহ্বান করা হয়েছিল সেজদা করতে।’ (সুরা কালাম: ৪২-৪৩)

আরেকটি হাদিসের বর্ণনামতে ‘..একদিন সকালে রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, ‘আজ রাতে আমার কাছে দুজন আগন্তুক এসেছিল। তারা আমাকে বলল, আমাদের সঙ্গে চলুন। আমি তাদের সঙ্গে গেলাম। আমরা এমন এক লোকের কাছে পৌঁছলাম, যে চিত হয়ে শুয়েছিল। অন্য এক ব্যক্তি পাথর নিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সে পাথর দিয়ে শুয়ে থাকা ব্যক্তির মাথায় আঘাত করছে এবং থেঁতলে দিচ্ছে। যখন সে পাথর নিক্ষেপ করছে তা গড়িয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। লোকটি গিয়ে পাথরটি পুনরায় তুলে নিচ্ছে এবং তা নিয়ে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই লোকটির মাথা পুনরায় পূর্বের মতো ভালো হয়ে যাচ্ছে। সে আবার লোকটির কাছে ফিরে আসছে এবং তাকে পূর্বের মতো শাস্তি দিচ্ছে। আমি আমার সঙ্গী দুজনকে জিজ্ঞাস করলাম- সুবহানাল্লাহ! এরা কারা? তারা জবাবে বলেন, এ ব্যক্তি ফরজ নামাজ না পড়েই ঘুমিয়ে যেত।’ (রিয়াজুস সালেহিন: ১৫৪৬)

শাস্তি না দেওয়া আল্লাহর ইচ্ছাধীন
যারা নামাজ পড়ে না এবং মৃত্যুর আগে তাওবাও করেনি তারা ক্ষমা পাবে না— এমনটাও বলা যায় না। কারণ আল্লাহ তাআলা আপন অনুগ্রহে যে কাউকে চাইলে ক্ষমা করে দিতে পারেন। আবার তারা জাহান্নামে গেলেও চিরস্থায়ী জাহান্নামি হবে না; বরং এক সময় আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ঈমানের কারণে নিজ অনুগ্রহে জান্নাত দিবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, (তরজমা) নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তার সাথে শিরক করা ক্ষমা করবেন না। তবে এছাড়া অন্যান্য গুনাহ যার জন্য ইচ্ছা ক্ষমা করবেন। আর যে কেউ আল্লাহর শরিক সাব্যস্ত করল সে মারাত্মক অপবাদ আরোপ করল। (সুরা নিসা: ৪৮)

হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত উসমান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এ বিশ্বাসের উপর মৃত্যুবরণ করবে যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো মাবুদ নেই, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সহিহ মুসলিম: ২৬)

অপর হাদিসে আছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (স.) বলেছেন, জান্নাতিরা জান্নাতে এবং জাহান্নামিরা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। অতপর আল্লাহ তাআলা (ফেরেশতাদেরকে) বলবেন, যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণও ঈমান আছে তাকে জাহান্নাম হতে বের করে আনো। তারপর তাদেরকে এমন অবস্থায় বের করা হবে যে, তারা (পুড়ে) কালো হয়ে গেছে। অতপর তাদেরকে বৃষ্টির নদীতে বা হায়াতের নদীতে নিক্ষেপ করা হবে। ফলে তারা সতেজ হয়ে উঠবে। যেমন নদীর তীরে ঘাসের বীজ গজিয়ে উঠে। তুমি কি দেখতে পাও না, সেগুলো কেমন  হলুদ বর্ণের বক্র হয়ে গজায়? (সহিহ বুখারি: ২২; উমদাতুল কারি: ১/১০৪;আল-ফিকহুল আকবর: ৫৭)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments