Thursday, May 9, 2024
HomeScrollingজাবিতে স্বামীকে হলের কক্ষে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, আটক ৩

জাবিতে স্বামীকে হলের কক্ষে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, আটক ৩

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আবাসিক হলের কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) তাদের আটক করেছে পুলিশ। এর আগে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান এবং বহিরাগত যুবক মামুনের (৪৫) বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। মোস্তাফিজ মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বলে জানা গেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ধর্ষণের অভিযোগ আনা ওই দম্পতির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মামুন নামের সেই বহিরাগত যুবক। তারই প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় সেই নারীর স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডেকে নেয়া হয়। পরে তিনি ক্যাম্পাসে গেলে তাকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকে রাখেন অভিযুক্তরা।

এরপর অভিযুক্ত মামুন সেই ব্যক্তিকে তার স্ত্রীকে দিয়ে নিজের রেখে আসা জিনিসপত্র আনাতে বলেন। মামুনের কথার প্রেক্ষিতে সেই নারী তার জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন। মামুন তখন জিনিসপত্র নিয়ে হলের ভেতরে সেই কক্ষে রেখে আসেন। এরপর সেই নারীর স্বামী অন্যদিক থেকে আসবে বলে তাকে হল সংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন সেই নারী।

ভুক্তভোগী নারী গণমাধ্যমকে বলেন, মামুন ভাই আমাদের বাসায় ভাড়া থাকতো। তিনি আমার স্বামীর মাধ্যমে ফোন দিয়ে আমাকে তার রেখে যাওয়া জিনিসপত্র নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে বলেন। আমি তার জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে যাই। তখন তিনি আমাদের বাসায় থাকবেন না বলে জানান। এছাড়া তিনি মীর মশাররফ হোসেন হলের মোস্তাফিজ ভাইয়ের কাছে থাকবে বলেও জানান।

তিনি আরও বলেন, এরপর মামুন আমার কাছ থেকে তার জিনিসপত্রগুলো নিয়ে হলে রেখে আসে। পরে আমার স্বামী অন্যদিকে থেকে আসবে বলে আমাকে হলের সামনে থেকে পাশের জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যায়। তার সঙ্গে মোস্তাফিজ ভাইও ছিলো। তখন তারা আমাকে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মোস্তাফিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

তার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলম ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

এদিকে, ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর মোস্তাফিজকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল। তাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments