Friday, May 3, 2024
HomeScrollingডিম-মুরগিতে ১৫ দিনে হাতিয়ে নিল ৫১৮ কোটি টাকা

ডিম-মুরগিতে ১৫ দিনে হাতিয়ে নিল ৫১৮ কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে হঠাৎ করে দেশের বাজারে বেড়ে গেছে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম। দেশের ডিম ও মুরগির বাজার এখন মাফিয়া চক্রের হাতে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি, এ চক্র গত ১৫ দিনে হাতিয়ে নিয়েছে ৫১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করে সারা দেশের প্রান্তিক খামারি ও ডিলারদের সংগঠনটি।

পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, গত দুই সপ্তাহে চক্রটি পরিকল্পিতভাবে ডিম, মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আরও দাবি করেন, এই চক্রটি ১০ থেকে ১২টি বড় কোম্পানি মিলে গড়ে উঠেছে। তারা দেশের প্রান্তিক খামারিদে ধ্বংস করে দিতে চাইছে।

সংবাদ সম্মেলনে পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার, সহসভাপতি বাপ্পি কুমার দেবসহ সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, মাফিয়া চক্রের কারণে প্রায় অর্ধেক প্রান্তিক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। আর যারাও বা কষ্ট করে এখনও টিকে আছে, তারা ডিম ও মুরগি উৎপাদন করলেও দাম নির্ধারণ করতে পারে না। বর্তমানে দেশে ডিম ও মুরগির বাজারে যে অস্থিরতা চলছে তা বড় কোম্পানিগুলো জেনেশুনে তৈরি করেছে।

তার দাবি, কাজী ফার্মস, প্যারাগন, সিপি, নারিশ, ৭১, আফিল, সাগুনাসহ ১০ থেকে ১২টি বড় কোম্পানি যৌথভাবে এই চক্র তৈরি করেছে।

সুমন হাওলাদার বলেন, প্রান্তিক খামারিকে বর্তমানে এক বস্তা ফিড কিনতে হয় ৩ হাজার ৩০০ টাকায়। কিন্তু বড় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিতে গেলে সেই একই বস্তার মেলে আড়াই হাজার টাকায়। অর্থাৎ কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে না থাকা খামারিদের কাছ বস্তা প্রতি ৮০০ টাকা বাড়তি লাভ করছে বড় কোম্পানিগুলো। একই রকম ভাবে এই কোম্পানিগুলো প্রতিটি ডিমে বাড়তি তিন টাকা আর প্রতিটি ব্রয়লারের বাচ্চা বিক্রি করে বাড়তি ২০ থেকে ২২ টাকা বাড়তি লাভ করছে।

পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে দৈনিক ডিমের চাহিদা চার কোটি পিস। এর মধ্যে বড় কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে আসে আড়াই কোটি। প্রতি ডিমে তিন টাকা করে বেশি নিলে প্রতিদিন তারা সাত কোটিরও বেশি টাকা অবৈধভাবে লাভ করেছে। অর্থাৎ গত ১৫ দিনে তারা ডিমের বাজার থেকে ১১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

একইভাবে ব্রয়লার মুরগির ক্ষেত্রেও সরবরাহ সংকট তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিদিন ১৯ কোটি ৫০ লাখ কেজি মজুত সংকট তৈরি করে পরবর্তীতে প্রতি কেজিতে ১৫ টাকা বাড়তি দাম নেয়া হয়েছে। আর এভাবে গত ১৫ দিনে ১৭২ কোটি টাকার অতিরিক্ত মুনাফা করেছে বড় কোম্পানিগুলো।

প্রান্তিক খামারিদের এই সংগঠন বলছে, প্রতিটি ব্রয়লারের বাচ্চা বিক্রি করে বাড়তি ২০ থেকে ২২ টাকা বাড়তি লাভ করছে। দিনে এক কোটি ৩০ লাখ বাচ্চা বিক্রি থেকে গড়ে ১২৯ টাকা বেশি নেয়া হয়েছে। এভাবে গত ১৫ দিনে বড় কোম্পানিগেুলো বাড়তি মুনাফা করেছে ২৩৪ কোটি টাকা।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments