Friday, May 3, 2024
HomeScrollingগ্রেপ্তার হতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

গ্রেপ্তার হতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক।

বহুল আলোচিত চিনি দুর্নীতি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থপাচার মামলায় গ্রেপ্তার হতে পারেন পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। একই মামলায় গ্রেপ্তার হতে পারেন তার বড় ছেলে ও পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজও।

পাকিস্তানের বিশেষ আদালত সেন্ট্রাল ওয়ানে চলছে এ মামলার বিচারকাজ। শনিবারের শুনানিতে বিচারক ইজাজ হাসান আওয়ান মামলার বাদীপক্ষ ও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সির (এফআইএ) কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করেন, এফআইএ শাহবাজ শরিফ ও হামজা শাহবাজকে গ্রেপ্তার করতে চায় কি না?

জবাবে এফআইএ কর্মকর্তারা বলেন, তারা শাহবাজ শরিফ ও হামজা শাহবাজকে গ্রেপ্তার করতে ইচ্ছুক।

তবে, এদিন শাহবাজ ও হামজার জামিনের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। আর মামলার অন্যতম আসামি ও শাহবাজের ছোট ছেলে সুলেমান শাহবাজসহ অপর দুই আসামি তারিক নাকভি ও মালিক মাকসুদের বিরুদ্ধে শনিবার পুনরায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

শাহবাজ ও হামজার জামিনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছেন আদালত। শনিবারের শুনানিতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ও ছেলে হামজা উভয়েই উপস্থিত ছিলেন। তবে শুনানি শেষ হওয়ার আগেই আদালতের অনুমতি নিয়ে বেরিয়ে যান তারা। আগামী ১১ জুন ফের শুনানি হবে।

পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৬০০ কোটি পাকিস্তানি রুপি বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালে এ বিষয়ে লাহোরের বিশেষ আদালতে শাহবাজ, তার দুই ছেলে হামজা ও সুলেমানসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে আখ ক্রয়, চিনি উৎপাদন ও বিপণন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি লোপাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে শাহবাজ শরিফ, তার দুই ছেলে ও এজাহারভূক্ত অন্যান্য আসামিদের। পাঞ্জাব প্রদেশের কয়েকজন চিনি কল মালিকও এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।

এতে আরও বলা হয়, বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে শাহবাজের পরিবারের সদস্যদের বেনামে ২৮টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেসব ব্যাংকে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে এ অর্থ। রাজনীতির পাশপাশি চিনির ব্যবসা রয়েছে পাকিস্তানের শরিফ পরিবারের। আল-আরাবিয়া মিলস নামে একাধিক চিনির কারখানা রয়েছে এই পরিবারের।

শাহবাজ শরিফ অবশ্য বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তবে যদি অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে পাকিস্তানে রাজনীতি ও নির্বাচন করার অধিকার হারাবেন তিনি।

তার বড় ভাই ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধেও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় রাজনীতি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর নিতে হয়েছে তাকে। চিকিৎসার জন্য লন্ডন গিয়ে আর দেশে ফেরেননি তিনি।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments