গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৬নং বেতকাপা ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামে পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লাঠি ও ছুরিকাঘাতে সামিউল ইসলাম (৩৮) নামের ১ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১ নারীসহ আরো আহত হয়েছেন-৫ জন। এ ব্যাপারে ১২ জনকে আসামী করে পলাশবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,গত ৬ আগষ্ট উপজেলার বেতকাপা ইউপির মোস্তফাপুর গ্রামের সাইদার রহমানের ছেলে সাগর মিয়া বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে নিজ পাওয়ার টিলার দিয়ে মোস্তফাপুর মৌজার শালমারার বিল নামক পাথারে জমি চাষ করতে যায়। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে খোকন মিয়ার সাথে সাগরের প্রথমে কথা কাটা-কাটি হয়। এরই জের ধরে এক পর্যায়ে খোকনের পিতা রাজা মিয়া তার পক্ষের লোকজনসহ লাঠি-ছোরা ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘটনাস্থলে এসে সাগরকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি মারডাং করতে থাকে। এসময় বেতকাপা ইউনিয়ন আনছার ভিডিপির দলনেতা মৃত আজগর আলীর ছেলে সাগরের চাচাত ভাই সামিউল ইসলামসহ স্থানীয় লোকজন সাগরকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে। এসময় খোকন ও রাজা’র নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল লাঠি-ছোড়া,লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের উপর হামলা করে। এতে গুরুতর আহত হয় সামিউল ইসলামসহ ৬ জন। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। আহতরা হলো মৃত মেছের উদ্দিনের ছেলে সাইদাত রহমান (৫৪) সাইদার রহমানের ছেলে সাগর (৩০) মোজাম্মেল হকের ছেলে শফিকুল ইসলাম(৫০) শাহারুল ইসলাম(৩৫) ও হাসেন আলীর স্ত্রী মর্জিনা বেগম(৫০)। এদিকে গুরুতর আহত সামিউলের অবস্থার অবনতি ঘটলে ডাক্তারের পরামর্শে ৬ আগষ্ট রাতে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপালে ভর্তি করা হলে ৭ আগষ্ট সকাল ৮টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সামিউল ইসলাম (৩৮) মারা যায়। এ ব্যাপারে নিহত সামিউল ইসলামের চাচা বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামী করে পলাশবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ রানা জানান,এ ঘটনায় ২ নারীসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে জমি চাষকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে নিহত -১,আহত-৫ জন
RELATED ARTICLES
Continue to the categoryRecent Comments
Hello world!
on