সাভার বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নিতে রবিবার দুপুর আড়াইটায় সাভার মডেল থানায় এসেছিলেন চিত্র নায়িকা পরীমণি। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের সাথে কথোপকথন হয় তার। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে থানা থেকে বের হয়ে যান।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পরীমণি বলেন, আসলে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নিতেই আমি রবিবার সাভার মডেল থানায় আসি। যদিও আমার আরও আগে আসার কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থ থাকার কারণে একটু দেরিতে আসা হলো।
তিনি সাংবাদিকদের তার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, ‘সবাই আমাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছে। আমি খুব খুশি। মিডিয়ার সহযোগিতার কারণেই পুলিশ মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করেছে এবং রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সাভার মডেল থানায় মামলার অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এখানে খাওয়া দাওয়া করেছি।’
এ ছাড়া দীর্ঘক্ষণ থানায় অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিনের সকল কথা আমাকে খুলে বলতে হয়েছে। মামলার স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে লম্বা সময় কথোপকথনের মাধ্যমে সেদিনের বিষয়গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পুলিশকে জানিয়েছি।’
এর আগে রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পরীমণি একটি সাদা প্রাইভেট কারে করে সাভার মডেল থানায় আসেন। পরে তিনি ঢাকা জেলা উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফির কক্ষে প্রবেশ করেন। এর পরপরই সাভার মডেল থানায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় এবং মূল ফটক আটকে দিয়ে সাংবাদিক প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, পরীমণি সাভার থানায় কিছুক্ষণ আগে এসেছেন। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুন রাতে পরীমণি ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগে তোলেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে। গত ১৩ জুন নাসির ও অমি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন পরীমণি। ওই মামলায় গত ২৩ জুন মামলার আসামি নাসির ও অমিকে ৫ দিনের রিমান্ডে সাভার মডেল থানায় আনা হয়।