বুধবার সকাল ১০টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বর্তমান পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী। উৎসবমুখর পরিবেশে মুসল্লীরা ঈদের জামাতে অংশ নেয়।
পরে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে দেশ ও মানুষের শান্তি কামনায় মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয় চৌধুরী আল মাদানী বলেন, বিশ্বের যেকোনো স্থানে প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদ উদযাপন করি। গতকাল সোমালিয়া, নাইজার ও পাকিস্তানে চাঁদ দেখা গেছে। এটি নির্ভরযোগ্য হওয়ায় হানাফী মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ আমরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি।
তিনি বলেন, সাদ্রা হামিদিয়া ফালিজ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের প্রচলন শুরু করেন। এরপর থেকে জেলার ৫টি উপজেলার ৪০টি গ্রামের মানুষ এই নীতি অনুযায়ী ঈদসহ ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে আসছেন।
সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. খাজা বাকী বিল্লাহ মিসকাত চৌধুরী বলেন, এ বছর লকডাউনের কারণে অনেক মানুষ ঈদ করতে বাড়িতে আসতে পারেনি। তাই ঈদের নামাজের জামায়াতও অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হয়েছে।
তিনি বলেন, আগে চাঁদপুর জেলার ৪০টি গ্রামের মানুষ এই রীতি মেনে চললেও বর্তমানে এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ এই রীতি মেনে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করছেন।
সাদ্রা ছাড়াও একদিন আগে রোজা ও ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হচ্ছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।
এছাড়াও চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করে আসছেন।