এমএইচএস-মাদারীপুর।।
মস্তফাপুর স্কুলের শ্রীদাম স্যার না ফেরার দেশে চলে গেলেন। বুধবার রাতে নিজ বাড়ীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।সে মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিন ইংরেজী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্যারের শোকাহত পরিবারের প্রতি মস্তফাপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ২০০১ এসএসসি ব্যাচের পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে। এবং স্যারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে।
2001 এসএসসি ব্যাচের বর্তমান সাংবাদিক মেহেদী হাসান সোহাগ জানান, আজ প্রায় ১৯ বছর পর স্যারের বাসায় গেলাম কিন্ত স্যার লাশ। স্যার ছিল সম্মানি কিন্ত আমাদের বন্ধুর মত। আরও কস্ট লাগছে একটি কথা ভেবে আমি মুসলিম। আমাদের কেউ মারা গেলে কত যতনে দাফন- কাফন করা হয়। কবরে একটি মাটির টুকরা পড়তে দেয়া হয় না। অথচ স্যারে ধর্মে আগুনে কত কস্ট দিয়ে পোড়ানো হলো। আমি কোন ধর্মকে ছোট করার জন্য বলি নাই। আমার কাছে মনে হলো তাই। এখানে অনেক বন্ধু আছে অন্য ধর্মের কিন্তু আমাদের মনের মিল অনেক। স্যারের সাথে থাকা বিভিন্ন কথা মনে করে চোঁখের এক পাশ দিয়ে পানি পড়েছে তাই এই কথা।
স্যার অন্যরকম মনের মানুষ ছিল তার সাথে কত দুস্টুমি করেছি’ কত শাসন স্যার আমাদের করেছে তবে সেটা ভালবাসার মাধ্যমে। স্যার শাসন করলেও কখনো মনে হয়নি স্যার আমাদের কস্ট দিয়েছে। এই স্যারের মত এখনো কয়েকজন স্যার এই স্কুলে আছে যাদের দেখলে মাথা এমনিতে নিচু হয়ে আসে। এর আগে মারা গেছে আমাদের এই স্কুলের বাংলা শিক্ষক অরুন স্যার যাকে অন্তর থেকে ভালবাসতো না এমন ছাত্র খুব কম ছিল। স্যারে একটি বিষয় আমর মনে পড়ে সেটা হলো অরুন স্যার যেখানে যে মুহুর্তে শুনতো জাতীয় সংগীত গাইছে বা কোথায় বাজানো হচ্ছে, স্যার সেই মুহুর্তে সেখানেই দাড়ীয়ে থাকতো যতসময় জাতীয় সংগীত শেষ না হতো। স্যারদের সম্মান কেন দেবো না যদি সেই স্যার সম্মানি হয়।