মেহেদী হাসান সোহাগ, মাদারীপুর |
দূর পাল্লার বাস বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রীরা মোটরসাইকেল, থ্রি হুইলার, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে ৩-৪ গুন বেশি ভাড়া দিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে আসছেন। ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিয়ে আবার হালকা যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঢাকায় পৌঁছান।
লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে যাত্রীদের ভিড় লেগেছে। রবিবার সকাল থেকে এ রুটের ফেরিতে শিমুলিয়া থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের চাপ শুরু হয়।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীদের ভিড় আরও বৃদ্ধি পায়। তবে বাংলাবাজার হয়ে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় ছিল সহনীয় পর্যায়ে। এদিনও ঘাট এলাকা বা ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন লক্ষণই দেখা যায়নি।
জানা গেছে, সকাল থেকেই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীদের চাপ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রী চাপ আরও বৃদ্ধি পায়। তবে এদিন দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের ভিড় ছিল অনেক বেশি। সে তুলনায় ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ ছিল সহনীয় পর্যায়। লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতেই যাত্রীরা গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দেন। ফলে ঘাট এলাকা বা ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।
দূরপাল্লা বা অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীবাহী যানবাহন বন্ধ থাকলেও বরিশাল, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে মোটরসাইকেল, থ্রি হুইলার, ইজিবাইকসহ হালকা যানবাহনে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছেন।
ইজিবাইক, সিএনজি, মোটরসাইকেলে বরিশালে ৫’শ থেকে ৬’শ টাকা, গোপালগঞ্জ ৫’শ টাকা, খুলনা ৭’শ টাকা, মাদারীপুর ২’শ টাকা, বাগেরহাট ৬৫০ টাকাসহ প্রতিটি যানবাহনেই কয়েক গুন ভাড়া আদায় করা হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহাসড়ক ও অভ্যন্তরীণ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দিলেও বিভিন্ন অজুহাতে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।
পণ্যবাহী ট্রাকের সাথে সাথে অন্যান্য ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ১৫টি ফেরি চালু থাকায় যাত্রী ও যানবাহনগুলোকে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে আটকে থাকতে দেখা।
রহমান নামে এক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলেন, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করি বাড়িতে এসেছিলাম কিন্তু এখন যদি না যাই তাহলে আমার চাকরি থাকবে না। আমরাতো ভাই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান পড়াশোনার মাঝে চাকরি করতে হয়, তা না হলে পড়াশোনা করাই হবে না।’
ঢাকা থেকে আসা এক গৃহবধূ বলেন, ‘আমার সন্তান নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম লকডাউনের আগে এতদিন অপেক্ষা করেছি কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরছি। ঢাকা কি থাকা যায় বলেন।’
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন আহম্মেদ জানান, এত চাপ ফেরিতে পড়ত না যদি লঞ্চ চালু থাকত। তবে আমরা সকলকেই বলছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেরিতে উঠতে কিন্তু কেউ শোনে না। আমরা কাঁচাবাজার ও জরুরি পরিবহন অগ্রাধিকার দিচ্ছি পারাপারের ক্ষেত্রে।