কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন ৯, ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ করোনাক্রান্ত ও ৩ জন উপসর্গসহ মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
একই সময়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ১২৬২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪২১ জনের দেহে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় সাড়ে ৩৩ শতাংশ।
হাসপাতালের সর্বশেষ চিত্র তুলে ধরে তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে করোনা পজিটিভ নিয়ে ১৮২ জন আর উপসর্গ নিয়ে ৭১ জন মোট ২৫৩ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমাদের নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও করোনা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
গ্রামাঞ্চলে সংক্রমিত রোগীদের অসচেতনতাকে অধিক মৃত্যুহারের জন্য দায়ী করছেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, তারা আক্রান্ত হয়েও সময় মতো নমুনা পরীক্ষা করছে না। অক্সিজেন লেভেল একেবারে নিম্ন পর্যায়ে এসে যখন ঠেকে যাচ্ছে তখনই আসছেন হাসপাতালে। হাসপাতালে আসার পর এসব রোগীদের সব রকম চিকিৎসা দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১২৬২টি নমুনা পরীক্ষায় ৪২১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় ৩৩ শতাংশ। এ সময় চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের এবং উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩ জনের। এর মধ্য দিয়ে জেলায় করোনা সংক্রান্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৪৩৩ জন।