বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে চার কিলোমিটার দূরে আমতলীর পাকা রাস্তা পার হলেই সদর ইউনিয়নের ইউনিয়নের আলাদীপুর গ্রাম। গ্রামটিতে ঢুকলেই চখে পরবে এনএটিপি- প্রকল্পের গাভী পালন প্রদর্র্শণী। রহিমা আক্তার রত্না ওই খামারটির মালিক। শখের বসে ২০১২ সাল থেকে ৪টি গরু দিয়ে যাত্রা শুরুকরে এখন ২০টি গরু ও ৪টি ছোট বাছুরের বিশাল খামার তার।খামারের কারনে এলাকায় বেশ আলোচিত তিনি।
রত্নার খামারে তিনজন কর্মচারী কাজ করেন। প্রত্যেককে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে বেতন দিতে হয়। এখন তাঁর কোনো ব্যাংক লোনও নেই। গ্রামের বাড়ির পাশেই তিনি খামারটি স্থাপন করেছেন।
তিনি সরকারের কাছ থেকে কোনো সহায়তার পাশাপাশি উন্নত মানের ভ্যাকসিন সরবরাহ করার দাবী জানান। রত্নার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে এলাকার অনেকেই এ কাজ করছেন আর তাতে সফলতাও পেয়েছেন। চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বিগত ২০১২ সালের প্রথম দিকে রত্না চারটি গরু পালন শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে বিভিন্ন জাতের গাভী রয়েছে। গাভী গুলোর মধ্যে ৬ টি গাভী প্রতিনিয়ত দুধ দেয়। গাভী গুলো থেকে তিনি প্রতিদিন ৮০ লিটার দুধ পান। বছরে তিনি প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকার দুধ বিক্রি করে থাকেন।প্রতি বছরই ঈদুল আযহার আগে নিজেদের খামারে পালন করা বিভিন্ন প্রজাতির ষাড় বিক্রি করে ভালো আয় করে থাকেন। চলতি বছরে ঈদে বিক্রির জন্য বড় দুটি ষাড় লালন পালন করছেন।
একটির নাম মন্ডল ওজন দেড় টন, অপরদিন নাম সুন্দর ওই দুটি ষাড়ের দাম হাকা হচ্ছে ২৭ লক্ষ টাকা। বিগত কয়েক বছর ধরে নিজ খামারে পালন করা গরু বিক্রি করে এখন সফল ব্যবসায়ীদের একজন তিনি। দুই সন্তানের জননী তিনি। স্বামী আবু জাফর এক পল্লী চিকিৎসক। স্বামী আবু জাফরের সার্বিক সহায়তায় তিনি গরু পালন করে সফলতার স্বপ্ন বুনছেন।
গরু পালন করে সফল গৃহিনী থেকে আজ তিনি সফল খামারী। রত্নার সাথে কথা বল্লে তিনি জানান, আট বছর আগে শখের বসে গরু পালন শুরু করেছিলাম। এখন আমার খামারে ২৪ টি গরু আছে। আমি এক জন সফল খামারী হতে চাই। এবিষয়ে ইউএলও ডাঃ জাফরিন জানান, খামারটি নিয়মিত পরির্দশন করি, তাকে উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়।