তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে যে ওষুধ কারখানা আছে অথবা তার পাশেই ভ্যাকসিন তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সভাও হয়েছে।
শনিবার বিকেল সোয় ৩ টার দিকে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা কভেক্স থেকে ২৫ লাখ মডার্নার ভ্যাকসিন পেয়েছি। এই ভ্যাকসিনগুলো দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লকডাউনের ওপর নির্ভরশীলতা নয়, লকডাউন দিতে হয় বাধ্য হয়ে। টিকা হাতে না থাকলে লকডাউনই করোনা প্রতিরোধের একমাত্র উপায়। বিশ্বের অনেক দেশই লকডাউন দিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। আমরা লকডাউন চাই না। কিন্তু মানুষের জীবন বাঁচাতেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন কয়েক দিন ধরে দেশে মৃত্যুর হার অনেক বেড়ে গেছে। শুক্রবার ১০৮ জন মৃত্যুবরণ করেছে এবং সংক্রমণের হারও প্রায় ২২ শতাংশের কাছে চলে গেছে। দেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে রাজশাহী ও খুলনায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হচ্ছে। পাশাপাশি বিভাগ, জেলা এবং ঢাকা শহরেও সংক্রমণ বাড়ছে। মৃত্যু হার ও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে কঠোর লকডাউন দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার প্রায় ১৩ শতাংশ হয়ে গেছে। আমাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী হাসপাতালে প্রায় ৫ হাজার করোনা রোগী আছে। যখন করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল তখন এর সংখ্যা ছিল এক হাজার। করোনা সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে আমারা হাতপাতালে রোগী জায়গা দিতে পারব না এবং চিকিৎসা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতির সার্বিক তথ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি সোমবার থেকে আগামী সাত দিন লকডাউনের নির্দেশনা দিয়েছেন। সাত দিন পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। তারপরে আবার আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।