মাদারীপুর প্রতিনিধি।।
মাদারীপুরে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিক অহিদুজ্জামান বেপারী(২৪)কে আটক করেছে মাদারীপুর থানা পুলিশ। রবিবার রাতে মাদারীপুর সদরের একটি বাড়ীতে প্রেমিকাকে একা পেয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে, এসময় স্থানীয়রা প্রেমিকার চিৎকারে ঘটনাস্থলে এসে প্রেমিক পালিয়ে যাওয়ার সময় ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশের হস্তান্তর করে। এবং সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ঐ প্রেমিকা(১৯) মাদারীপুর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার, ভুক্তভোগীরা জানায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার মধ্য খাগদী এলাকার মৃত ফজল বেপারীর ছেলে অহিদুজ্জামান বেপারীর সাথে একই এলাকার এক মেয়ের সাথে তিনবছর যাবত প্রেমের সর্ম্পক হয়। এসময় একাধিকবার তার সাথে শারিরীক সর্ম্পক করতে চাই কিন্ত প্রেমিকা সম্মতি না দেয়ায় তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয় প্রেমিক। এবং গত মাসের এক রাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকার বসতঘরে ভিতর সবাই ঘুমিয়ে থাকায় জোর পূর্বক প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে প্রেমিক। সেইদিন লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলি নাই। এরপর প্রতিদিনের মতো রবিবার (৬ নভেম্বর) রাতে ঐ মেয়ে পাশের এক বাড়িতে একজন শিক্ষার্থীকে পড়াতে যান। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। এই সুযোগে প্রেমিক অহিদুজ্জামান বেপারী ঐ ঘরের মধ্যে ঢুকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবারও প্রেমিকাকে ধর্ষণ করেন। এসময় প্রেমিকার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে প্রেমিক পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয়রা প্রেমিককে আটক করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়। পরে মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ এসে প্রেমিককে আটক করেন। এ ব্যপারে ভুক্তভোগী প্রেমিকা সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে সদর থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমার মেয়েকে ঐ অহিদুজ্জামান ধর্ষণ করেছে। আমার মেয়ের সম্মান নষ্ট করেছে। আমি ওর কঠিন বিচার চাই।
ভুক্তভোগী প্রেমিকা বলেন, অনেকদিন ধরেই বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অহিদুজ্জামান আমার সাথে শারিরিক সর্ম্পক করার চেষ্টা করেছে। আমি সুযোগ দেইনি। গতকাল রাতে ( ৬ নভেম্বর) আমি পাশের এক বাড়িতে পড়াতে যাই। এসময় ও আমাকে অনুসরণ করে ঐ বাড়িতে যায়। কেউ না থাকার সুযোগে জোর করে আমাকে ধর্ষণ করেছে। আমার চিৎকারে স্থানীয়রা টের পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়। পরে পুলিশ এসে ওকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আমি এ ব্যাপারে থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। আমি ওর শাস্তি চাই।
অভিযুক্ত প্রেমিক অহিদুজ্জামানের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ঐ মেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
Leave a Reply