মাদারীপুর সংবাদদাতা।।
মাদারীপুর সদর উপজেলা চরগোবিন্দপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয় জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সিরাজুল হক মুন্সী। বুধবার বিকেলে অধ্যক্ষের নিয়োগ নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেন মাদ্রাসার দাতা সদস্যরা। এদিকে এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
লিখিত অভিযোগ ও মাদ্রাসাটির একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি চরগোবিন্দপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মারা যাওয়ায় তার পদে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করতেন ওই মাদ্রাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক মাও: মো: আনোয়ারুল হক। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন কালে তিনি অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন এবং নিজে একজন প্রার্থী হিসেবে আবেদনও করেন। এমনকি তার পরিচিত কয়েকজনসহ তার সহোদর আপন বড় ভাই মো: জিয়াউল হক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে আবেদন করেন। নিয়োগ বোর্ড গঠন করলে স্থানীয় গভনিং বডির সদস্যরা ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করে দেয়। পরবর্তীতে মাদ্রাসাটির বাংলা বিভাগের অধ্যক্ষ কাজী মনিরকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ করে পূনরায় একই ধরণের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পূর্বের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক সাহেবের আবেদন ও স্বজনদের আবেদন গ্রহণ করে আবারও নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়। নিয়োগ বোর্ড মাদ্রাসা ও জেলায় নিয়োগ পরীক্ষার আনুষ্ঠানিকতা না করে ঢাকায় নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে। আগামীকাল এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
অভিযোগ আছে, যোগ্য বেশ কয়েকজন অধ্যক্ষ পদে আবেদন করলেও তাদেরকে কৌশলে অবৈধভাবে বাতিল করা হয়। এ ছাড়াও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ যোগসাজশে পূর্বের অধ্যক্ষ মো: আনোয়ারুল হককে নিয়োগ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এমনকি এই অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয় গভর্নিং বডির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং দাতা সদস্যরা জানেন না।
এদিকে স্থানীয় কয়েক বাসিন্দা জানান, মাদ্রাসাটি সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য যোগ্য লোকের প্রয়োজন। নিয়োগপ্রক্রিয়া সঠিক হলে যোগ্য লোকই স্থান পাবে। প্রশাসনের কাছে আবেদন সঠিকভাবে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হোক।
মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. সিরাজুল হক মুন্সী বলেন, ‘এতদিন মাদ্রাসাটি ভাল চলছিল। অনেক আলোর মুখও দেখেছে মাদ্রাসাটি। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে মো: আনোয়ারুল হক যোগ্যদের সুযোগ না দিয়ে অবৈধ ভাবে নিজে একক ভাবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা তার এই অপকর্মের তীব্র নিন্দা জানাই।’
অভিযোগের বিষয় মো: আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আমি একজন প্রার্থী মাত্র। আমার সব ধরণের যোগত্যই আছে বলেই আমি দরখস্ত করেছি। তাই আমি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো। নিয়োগ বোর্ড যোগ্য মনে করলে আমাকে নিয়োগ দিবে, যোগ্য মনে না হলে নিয়োগ দিবে না। এখানে আমার কোন ষড়যন্ত্র নেই। যারা আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে তারা সঠিক বলেনি।’
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়েই নিজেই অধ্যক্ষ প্রার্থী!
RELATED ARTICLES
Continue to the categoryRecent Comments
Hello world!
on