Friday, May 16, 2025
HomeScrollingমাদারীপুরে পরকিয়ার জেরে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

মাদারীপুরে পরকিয়ার জেরে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

মাদারীপুর প্রতিনিধি।।

মাদারীপুরে পরকিয়ার জেরে গ্রীস প্রবাসী স্বামী নুর আল মুন্সিকে তালাক দিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মিথ্যা অভিযোগ করেছে মারুফা আক্তার। এমনটাই অভিযোগ করেছে গ্রীজ প্রবাসীর পরিবার। পুলিশ বলছে দ‘ুপক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে আমরা তদন্ত করছি। প্রবাসী নুর আলম মুন্সী মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নে আপাসী গ্রামের করম আলী মুন্সীর ছেলে ও মারুফা আক্তার একই উপজেলা ও একই ইউনিয়নের বনগ্রাম গ্রামের রহিম হাওলাদারের মেয়ে।
গ্রীস প্রবাসীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিগত ৫ বছর পূর্বে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক গ্রীস প্রবাসী নূর আলম মুন্সি (৩৫), সহিত বিবাহ হয়। সে পরিবারের কথা ভেবে বিবাহের পরে প্রবাসে জীবন-যাবন করছে। কয়েকবছর তাদের সংসার ভালোই চলছিলো। কিন্ত জীবন ও পরিবারের কথা ভেবে কাজের উদ্দেশ্যে প্রবাসে গেলে নুর আলমের স্ত্রী মারুফা পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পরে। বিষয়টি নুর আলম বুজতে পেরে তাকে সর্তক করে কিন্তু মরুফা কথায় কোন প্রকার কর্ণপাত না করিয়া পরকীয়ার প্রেমিকার সহিত ঘোরাফেরা সহ নুর আলমের বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা-পয়সা মারুফা তাহার পরকীয়া প্রেমিকাকে দিয়ে দিতো। এসব বিষয় মারুফার ও প্রবাসীর পরিবারবর্গকে জানাইলে ঘটনাক্রমের বিষয় সমাধানের চেষ্টা করিতে ব্যর্থ হয়। যার ধারবাহিকতায় গত অনুমান ৩ মাস আগে মারুফা স্বামীর বসত বাড়ি হতে ৮ আনা মূলে একজোড়া স্বর্ণের কানের দূল (যাহার অনুমান মূল্যে- ৭৫,০০০/- টাকা), ২ ভরি মূল্য একজোড়া স্বর্ণের বালা (যাহার অনুমান মূল্য-৩,০০,০০০/- টাকা), ১ ভরি মূলে একটি স্বর্ণের গলার হাড় (যাহার অনুমান মূল্য- ১,৫০,০০০/- টাকা), ৬ আনা মূলে একটি স্বর্ণের আংটি (যাহার অনুমান- ৬৫,০০০/- টাকা), ৮ আনা মূলে ১ টি স্বর্ণের চেইন (যাহার অনুমান মূল্য- ১,৫০,০০০/- টাকা), এবং  নুর আলমের বিদেশ হইতে পাঠানো বসত বাড়িতে থাকা নগদ ২,৭৫,০০০/- টাকা এছাড়াও প্রয়োজনীয় মালা-মাল নিয়ে মারুফা তাহার পিতার বাড়িতে চলিয়া যায়। নুরু আলম বিদেশে থাকাকালীন অবস্থায় মারুফার ব্যাংক স্টেটমেন্ট অনুযায়ী অনুমান ২,৯০০,০০০/- টাকা পাঠায়। উক্ত সকল টাকা মারুফা তাহার পিতার বাড়িতে নানা অজুহাতে ধার হিসাবে দিয়ে দেয়।  মারুফা এরুপ টাকা-পয়সা স্বর্ণ অলংকার নিয়ে চলে যাওয়ার বিষয়ে তাহার পিতার বাড়িতে গেলে মারুফার উপরোক্ত পরকীয়ার ঘটনাক্রম জানতে পারি। উক্ত বিষয়ে সমাধানের চেষ্টা করিতে ব্যর্থ হয়। এবিষয় মাদারীপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন প্রবাসীর পক্ষে তার বোন ফাহিমা আক্তার আর এই অভিযোগ করায় উল্টো তার স্বামীসহ তার ভাই পিতার বাড়ীর পরিবারে নামে মাদারীপুর সদর থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
প্রবাসী নুর আলমের বোন ফাহিমা আক্তার জানান, আমার ভাইয়ের বিয়ের পরে কয়েক বছর তাদের সংসার সুখে শান্তিতে ছিল তবে আমার ভাই বেশীর ভাগ সময় তার স্ত্রীকে নিয়ে তার শশুড় বাড়ী থাকতো। তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্ত আমার ভাই বিদেশে যাওয়ার পরে আমার ভাইয়ের স্ত্রী পরকিয়া আসক্ত হয়ে পরে আমরা বিষয়টি সমাধানের একাধিকবার চেস্টা করেছি কিন্ত সমাধান করা সম্ভব হয়নি তবে আমরা জানতে পেরেছি আমার ভাইয়ে সংসার থেকে টাকা-পয়সা স্বর্ন অলংকার নিয়ে গিয়ে আমার ভাইকে গোপনে স্বামী তালাক দিয়ে, পরকিয়ার ব্যাক্তির সাথে সংসার করছে। এরপরই আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। যা সম্পুর্ণ মিথ্যা।
নুর আলমের বোন জামাই জাকির সিকদার বলেন, আমি একটি চাকরি করি‘ যার কারনে নিজের বাড়ীতে ঠিকমত আসতে পারি না, সেখানে আমার স্ত্রী ও আমার নামে মিথ্যা একটা অভিযোগ দিয়েছে।
প্রবাসী নুর আলম জানান, বিয়ে হওয়ার পরে আমার স্ত্রী বেশীর ভাগ সময় আমার শশুড় বাড়ী থাকতো যে কারনে আমিও সেই বাড়ীতে বেশীর ভাগ সময় থাকতাম এমনকি সেই বাড়ীতে থাকা অবস্থায় বেশীর ভাগ খরচ আমি নিজে করতাম। আমার সন্তান ও সংসারের সুখের কথা ভেবে। কিন্ত আমি প্রবাসে আসার পরে আমার স্ত্রী পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে পরে বিষয়টি সমাধানের চেস্টাও করেছি কিন্ত সে আমর সব টাকা পয়সা স্বর্ন অলংকার মালামাল নিয়ে গিয়ে আমাকে তালাক দিয়েছে। এমনকি আমি প্রবাসে থাকা অবস্থায় আমার নামেসহ আমার পরিবারের নামে মিথ্যা একটা অভিযোগ দিয়েছে।
এবিষয়ে সাংবাদিকরা মারুফার বাড়িতে গেলে অভিযোগের বিষয় তার বাবা রহিম হাওলাদার ও  মা হাবিবা আক্তার অস্বিকার করলেও এক পর্যায় ১ লক্ষ টাকা ধার নেয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে মারুফা বাড়ীতে ছিল না, তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মারুফার পিতার বাড়ীর প্রতিবেশী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান আমরা দেখছি বিয়ে পরে মারুফা এই বাড়ীতে(পিতার বাড়ী) বেশী থাকতো এই কারনে মারুফার স্বামী বেশীর ভাগ সময় এখানে থাকতো বাজার সদায় টাকা পয়সা সবই খরচ করতো। কিন্ত মারুফার স্বামী বিদেশে যাওয়ার পরে শুনছি মারুফা স্বামী তালাক দিছে এবং উল্টো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিছে শুনলাম। তবে মারুফার স্বামী খুবই ভাল মানুষ ছিল।
মাদারীপুর সদর থানার আদিল হোসেন জানান, দুই পক্ষই অভিযোগ করেছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

LN24BD
RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments