Friday, May 16, 2025
HomeScrollingপৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক গান এটি, কেড়ে নিয়েছিল ১০০’র বেশি প্রাণ

পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক গান এটি, কেড়ে নিয়েছিল ১০০’র বেশি প্রাণ

গান— কখনো আনন্দের উৎস আবার কখনো নিঃসঙ্গতার সঙ্গী। কেউ গান শুনে অবসর সময় কাটাতে আবার কেউ মানসিক প্রশান্তির জন্য। কিন্তু গান কি কখনো মৃত্যুর কারণ হতে পারে? ইতিহাস বলছে- পারে। পৃথিবীতে এমন একটি গান রয়েছে যা শুনে একশর বেশি মানুষ মারা গেছেন। কী অদ্ভুত শোনাচ্ছে? চলুন গানটি সম্পর্কে বিষদ জেনে নিই-

১৯৩৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত গান ‘গ্লোমি সানডে’। এই গানটির সুর নাকি এতটাই দুঃখজনক যে গানটি শোনার পর অনেকেই নিজেকে শেষ করে ফেলেছেন। আর তাই অনেক দেশে গানটি নিষিদ্ধও করা হয়েছিল।

43cc4eaab49e5d5f0bf9c8752ed9d9f7-man-stressed-headphones-white-shirt_l

হাঙ্গেরিয়ান সঙ্গীতশিল্পী রেজো সেরেস ১৯৩৩ সালে গ্লোমি সানডে গানটি রচনা করেন। একটি দুঃখজনক প্রেমের গল্পের ওপর ভিত্তি করে গানটি তৈরি। একজন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে হারানোর পর সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েন। প্রেমিকার স্মৃতি বুকে আঁকড়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এটিই গানটির গল্প। গানটির সুর এতটাই করুণ এবং গভীর ছিল যে, যে কেউ এটি শুনলেই বিষণ্ণতায় ডুবে যেত।

জানা যায়, গানটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই হাঙ্গেরিতে আত্মহত্যার ঘটনা বেড়ে যায়। স্থানীয় প্রতিবেদন অনুসারে, এই গানটি শুনতে শুনতে কেউ কেউ তো জানালা থেকে ঝাঁপ মারেন, আবার কেউ কেউ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। একসময় পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে সরকার গানটি নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়।

song2

একসময় এই গানটি ‘দ্য সুইসাইড সং’ নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই গানটি শোনার পর ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছিলেন। এমনকি এই গানের লেখক রাস সেরেসও পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছিলেন।

এই গানটি বহু দশক ধরে নিষিদ্ধ ছিল। বিশেষ করে ব্রিটেন এবং আমেরিকার মতো দেশে, এটি রেডিও এবং পাবলিক তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৬২ বছর পর, ১৯৯৫ সালে গানটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। তার আগ পর্যন্ত মানুষ একে একটি ভয়াবহ স্মৃতি এবং গল্প হিসেবেই দেখছিল।

sad

নব্বইয়ের দশকে, কয়েকজন সঙ্গীতপ্রেমী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতারা আবার এটি শুনতে শুরু করেন। তবে, গানটি নিয়ে আজও ভয় এবং গল্প রয়ে গিয়েছে। অনেক মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে এখনও এই বিষয়ে সতর্কতা দেওয়া হয়।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments