Friday, April 18, 2025
HomeScrollingজান্নাতি ফল ডালিম সম্পর্কে কোরআনে যা বলা হয়েছে

জান্নাতি ফল ডালিম সম্পর্কে কোরআনে যা বলা হয়েছে

ফলমূল মহান আল্লাহ তায়ালার অমূল্য নিয়ামত। এগুলোর দ্বারা আল্লাহ মানুষের যেমন আহারের ব্যবস্থা করেন তেমনি রোগ নিরাময়েরও বিভিন্ন ঔষধি গুণ দিয়েছেন। পৃথিবীতে যত ফল পাওয়া যায় তার মধ্যে ডালিম অন্যতম। এই ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি এর পুষ্টিগুণও ব্যাপক। ডালিমে প্রচুর পরিমাণে রোগ প্রতিরোধক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে।

ডালিমে খাদ্যশক্তি, শর্করা, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক রয়েছে। একইসঙ্গে ফলটি ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স যেমন থায়ামিন, রাইবোফ্লাবিন, নিয়াসিন এবং আয়রন ভালো উৎস। ডালিমের আদি নিবাস প্রাচীন পারস্য অঞ্চলে হলেও বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব অঞ্চলেই চাষ হয় এই ফলটির।

dali_2

পবিত্র কোরআনের তিন স্থানে রুম্মান বা ডালিমের আলোচনা এসেছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন এমন বাগানসমূহ, যার কিছু মাচায় তোলা হয় আর কিছু তোলা হয় না এবং খেজুরগাছ ও শস্য, যার স্বাদ বিভিন্ন রকম, জয়তুন ও আনার (ডালিম), যার কিছু দেখতে এক রকম আর কিছু ভিন্ন রকম। তোমরা তার ফল থেকে আহার করো, যখন তা ফল দান করে এবং ফল কাটার দিনেই তার হক দিয়ে দাও আর অপচয় করো না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা: আনআম, আয়াত: ১৪১)

এই ফল যে শুধু দুনিয়াতেই মানুষের জন্য নিয়ামত, তা কিন্তু নয়, বরং জান্নাতেও মহান আল্লাহ জান্নাতি বান্দাদের জন্য এই ফল রাখবেন। পবিত্র কোরআনে জান্নাতি ফলের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, ‘সেখানে আছে ফলমূল, খেজুর ও ডালিম।

অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ জান্নাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে এই ফলের কথাও উল্লেখ করেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘সেখানে আছে ফলমূল, খেজুর ও ডালিম।’ (সুরা আর-রহমান, আয়াত: ৬৮)। সেজন্য সম্ভব হলে মাঝেমাঝে ডালিম ফল খাওয়া উচিত।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments