রাসুলুল্লাহ (স.) এমন কিছু দোয়া ও কালাম শিখিয়েছেন, যেগুলোর সওয়াব ও ফজিলত অনেক বেশি। এখানে সহিহ হাদিসের আলোকে এমন এক দোয়া তুলে ধরা হলো, যে দোয়া ১০০ বার পড়লে তার চেয়ে বেশি সওয়াব সারাদিনে কেউ লাভ করতে পারবে না।
দোয়াটি হলো—لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’ অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, সব প্রশংসা একমাত্র তাঁরই জন্য, আর তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’ (বুখারি: ৩২৯৩)
আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার উল্লেখিত দোয়াটি পড়বে, তার ১০টি গোলাম আজাদ করার সওয়াব হবে। তার জন্য ১০০ পুণ্য লেখা হবে এবং ১০০ গুনাহ মিটিয়ে ফেলা হবে। ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান থেকে রক্ষিত থাকবে। কোনো মানুষ তার চেয়ে উত্তম সওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, ওই ব্যক্তি সক্ষম হবে, যে তার চেয়ে এই আমল বেশি পরিমাণে করবে।’ (বুখারি: ৩২৯৩)
হাদিসের অন্য বর্ণনায় দেখা যায়, প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ৩৩ বার করে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ও আল্লাহু আকবর পড়ার পর দোয়াটি শুধু একবার পড়লে সাগরের ফেনারাশির মতো অসংখ্য গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদু লিল্লাহ, ৩৩ বার আল্লাহু আকবর ৯৯ বার পূর্ণ হওয়ার পর শততম পূর্ণ করতে বলবে, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’, তাহলে তার গুনাহগুলো সাগরের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (মুসলিম: ৪৯০৬)