ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি স্কুলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত এক ডজন।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভবনটিতে মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবির থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।
এছাড়া শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে পৃথক বিমান হামলায় ১০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নুসিরাত স্কুলের একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ধুলো ও ধ্বংসস্তূপে ঢাকা ওই এলাকা। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন সড়কে প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুরা চিৎকার করছে, যখন তারা আহতদের সাহায্য করতে দৌড়াচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি ব্যস্ত বাজারের কাছে অবস্থিত স্কুলটির ওপরের তলাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। প্রায় সাত হাজারের মতো মানুষ ভবনটিকে আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করছিলেন।
একটি স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, লক্ষ্যবস্তু ছিল একটি কক্ষ যা হামাস পুলিশ ব্যবহার করেছে বলে দাবি ইসরায়েলের।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার জবাবে উপত্যকায় প্রায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামাসের ওই হামলায় নিহত হয় ১২ শর মতো ইসরায়েলি। ওইদিন দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসেন সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা।
ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু দখলদার দেশ ইসরায়েল। তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ কিংবা গির্জার মতো বেসামরিক স্থাপনা।
ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৯৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৭ হাজার ৭০৫ জন। নিহত ফিলিস্তিনিদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
হামলার পর বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।