অনেকে বলে থাকেন, জুমার নামাজও জোহরের মতো চার রাকাতই। খুতবা দুই রাকাত এবং বাকি দুই রাকাত নামাজ মিলে জুমাও চার রাকাত। আসলে এ ধরণের কথা কোরআন-হাদিস দ্বারা স্বীকৃত নয়। আলেমদের মতে, জুমার নামাজ আসলে দুই রাকাতই। জোহরের চার রাকাত থেকে জুমার দুই রাকাত ও খুতবা দুই রাকাত— এ ধারণা সঠিক নয়।
হজরত ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত- صَلاةُ السّفَرِ رَكْعَتَانِ، وَصَلاةُ الْأَضْحَى رَكْعَتَانِ، وَصَلاةُ الْفِطْرِ رَكْعَتَانِ، وَصَلاةُ الْجُمُعَةِ رَكْعَتَانِ، تَمَامٌ غَيْرُ قَصْرٍ، عَلَى لِسَانِ مُحَمّدٍ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ ‘সফরের নামাজ দুই রাকাত। ঈদুল আজহার নামাজ দুই রাকাত। ঈদুল ফিতরের নামাজ দুই রাকাত। জুমার নামাজ দুই রাকাত। (এগুলো) পূর্ণ নামাজ, কসর নয়। রাসুলুল্লাহ (স.) থেকেও এভাবেই বর্ণিত হয়েছে। (মুসনাদে আহমদ: ২৫৭, ইবনে মাজাহ: ১০৬)
আর খুতবা জুমার নামাজ সহিহ হওয়ার শর্ত। খুতবা ছাড়া জুমার নামাজ সহিহ হয় না। এটাই হলো সঠিক কথা। কিন্তু জুমার খুতবা নামাজের অংশ নয়।
অবশ্য জুমার নামাজ দুই রাকাত হওয়ার বাহ্যিক একটি হেকমত হলো- এর পূর্বে যেহেতু দুই খুতবা আছে তাই সহজিকরণ ও অন্যান্য হেকমতের ভিত্তিতে প্রথম থেকেই দুই রাকাতের বিধান দেওয়া হয়েছে। এই হেকমতটি বর্ণনা করতে গিয়ে সালাফের কেউ কেউ বলেছেন যে, إِنّمَا جُعِلَتِ الْخُطْبَةُ مَكَانَ الرّكْعَتَيْن (খুতবা হল দুই রাকাতের স্থলাভিষিক্ত)। যদিও এই বক্তব্যটির মুত্তাসিল ও সহিহ কোনো সনদ নেই।
(আলমাবসুত, সারাখসি: ২/২৪; আলমুহিতুল বুরহানি: ২/৪৫০; বাদায়েউস সানায়ে: ১/৫৮৯; শরহুল মুনয়া পৃ. ৫৫৫)