এমএইচএস-মাদারীপুর।।
মাদারীপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালের এক নার্সসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে দুইজনের রিপোর্ট করোনা পজিটিভ এসেছে। একজনের মৃত্যুর আগে ও মৃত্যুর পরে আরেকজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অন্য একজনের মৃত্যুর পরে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
মাদারীপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের সহকারী নার্স মো. শহিদুল ইসলাম (৫২) আজ ভোরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
অপরদিকে শহরের পানিছত্র এলাকায় রিকশার গ্যারেজ ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ হাওলাদার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ভুগছিলেন। শনিবার সকালে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে যান ভর্তি হতে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি করেননি। করোনার জন্য নমুনাও নেয়নি কেউ। বাধ্য হয়ে তার স্বজনরা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং রাত ৮টার দিকে তিনি বাড়িতে মারা যান। মারা যাওয়ার পর সিভিল সার্জন অফিস থেকে লোক এসে তার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। রবিবার সকালে তাকে দাফন করা হয়েছে।
অন্যদিকে একইদিন সকালে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়নের সেনেরবাট গ্রামের করোনায় আক্রান্ত হয়ে শফিক উদ্দিন শেখ (৭০) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। তিনি অপারেশনের রোগী ছিলেন এবং মৃত আগেই তিনি নমুনা দিয়েছিলেন। তবে দাফনের পরে দুপুরে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
মাদারীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইকরাম হোসেন বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া মৃত আব্দুল লতিফ হাওলাদারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে তার অ্যাজমা ও ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন কাজ সম্পন্ন করার জন্য বলা হয়েছে। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, মাদারীপুর সদর হাসপাতালের সহকারী নার্স মো. শহিদুল ইসলাম করোনা ভাইরাস পজিটিভ ছিলেন। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
অন্যদিকে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তিকে তার স্বাজনরা হাসপাতালে করোনা টেস্ট করানোর জন্য নিয়ে আসছিল। করোনা টেস্ট করানো মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখে তারা নিজেরা বাড়ি চলে যায়।
এ পর্যন্ত এ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৮ জন। শনিবার পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ৩৫০ জন।