বহুল আলোচিত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৯ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদের মধ্য ৪ আসামির চারদিন ও ৫ আসামির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
আসামিদের মধ্যে যে চারজনের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে তারা হলেন- বকশীগঞ্জ উত্তর বাজার এলাকার মো. আনার আলীর ছেলে মো. গোলাম কিবরিয়া সুমন (৪৩), মালিরচর নয়াপাড়া এলাকার মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. মিলন (২৫), নামাপাড়া এলাকার মৃত জহিরুল হকের ছেলে মো. তোফাজ্জল (৪০) ও একই এলাকার মৃত আজিজুল হকের ছেলে মো. আইনাল হক (৫৫)।
এছাড়া বাকী ৫ আসামির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে তারা হলেন- বালুগ্রাম সাধুরপাড়া এলাকার মৃত বাচ্চু খাজার ছেলে মো. কফিল উদ্দিন (৫৫), দক্ষিণ কুতুবের চর গ্রামের সিরাজের ছেলে মো. ফজলু মিয়া (৩৫) ও মো. শহিদ (৪০), মোল্লাপাড়া মসজিদপাড়া গ্রামের মৃত হাকিমের ছেলে মো. মকবুল (৩৫), সর্দারপাড়া মেরুরচর গ্রামের মো. আ. করিমের ছেলে মো. ওহিদুজ্জামান (৩০)।
এই ৯ আসামিকে শুক্রবার (১৬ জুন) রাত ৮টা থেকে পরদিন শনিবার (১৭ জুন) সকাল ১০টার মধ্যে তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (১৮ জুন) সকালে জামালপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক তানভীর আহম্মেদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে ওই আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে প্রত্যেকের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইউসুফ আলী জানান, সমস্ত বিষয়াবলি পর্যালোচনা করে দীর্ঘ শুনানির পর বিচারক চার আসামিকে ৪ দিন ও ৫ আসামিকে ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আজ বিকেল চারটা থেকে ওই আসামিদের রিমান্ড কার্যকর শুরু হবেও বলে তিনি জানান।
এদিকে, গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে শনিবার (১৭ জুন) বকশীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সাংবাদিকের স্ত্রী মনিরা বেগম।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌরসভার পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে তার ছেলেসহ একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিক নাদিমের ওপর হামলা করা হয়। পরে স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ কয়েকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। রাত দেড়টার দিকে তাঁকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে মারা যান নাদিম।
এদিকে নাদিম হত্যার প্রধান আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ৪ জন আসামীকে রবিবার দেড়টার দিকে আদালতে সোপর্দ করে বকশিগঞ্জ থানা পুলিশ।