
অনলাইন ডেস্ক।।
কমপক্ষে ৩৮টি চীনা যুদ্ধবিমান প্রতিরক্ষায় সীমানায় ঢুকে পড়েছে বলে তাইওয়ানের অভিযোগ।
আল জাজিরা জানায়, এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় সীমানা লঙ্ঘনের ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার। দুই ঝাঁকে বিমানগুলো আসে।
এ বিষয়ে তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু তেসং বলেন, চীন এ অঞ্চলে আগ্রাসনে যুক্ত হয়েছে, তারা আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করছে।
এর আগেও চীনের বিরুদ্ধে আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে প্রতিবেশী দেশটি।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, শুক্রবার ১৮টি জে-১৬ ও ৪টি সু-৩০ ফাইটার জেট, সঙ্গে দুটি পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পন্ন এইচ-৬ বোমারু ও একটি অ্যান্টি-সাবমেরিন বিমান ছিল।
শনিবার সকালেই মন্ত্রী জানান, পরবর্তী ধাপে ১০টি জে-১৬ জেট, ২টি এইচ-৬ ও একটি সতর্কতাকারী বিমান সীমানা লঙ্ঘন করেছে।
আরও জানান, চীনা বিমানকে সতর্ক করতে তারাও পাল্টা বিমান পাঠিয়েছেন। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।
প্রথম ঝাঁকের বিমানগুলো তাইওয়ানের প্রাটাস আইল্যান্ডের খুব কাছ দিয়ে উড়ে যায়। এর মধ্যে দুটি বোমারু বিমান একদম নিকটে চলে আসে। দ্বিতীয় ঝাঁকটি উড়ে যায় তাইওয়ান ও ফিলিপাইনকে বিভক্তরা বাশি চ্যানেলের ওপর দিয়ে।
তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি চীন। এর আগে জানান, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে মহড়া পরিচালনা করছে। তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের ঐক্যের জন্যও এ ধরনের উদ্যোগ বলে উল্লেখ করে সে সময়।
মূলত গণতান্ত্রিক তাইওয়ান সার্বভৌম রাষ্ট্র ঘোষণা করলেও চীন তাদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে মনে করে। দেশটি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চীনের বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে আকাশ সীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে। এর আগে জুনে ২৮টি চীনা যুদ্ধবিমান একই কাজ করে।
