প্রথম তিন ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশের স্পিন সামলাতে। বিশেষ করে নাসুম আহমেদের স্পিন খেলতেই পারছে না দলটি।
মাত্র ১১ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ম্যাথু ওয়েডকে নিয়ে চাপ সামলানোর চেষ্টা করছিলেন মিচেল মার্শ। তবে স্পিনার নাসুম আহমেদ ম্যাথু ওয়েডকে ফেরানোর পর হিট উইকেট হয়েছেন অ্যাস্টন অ্যাগার। সেটা নাসুমের বলেই। ফলে ৭১ রানে ৫ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। পরে ৪৫ বলে ৪৫ রান করা মার্শকেও তুলে নিয়েছেন নাসুম।
১৩২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৫.৩ ওভার শেষে অজিদের স্কোর তাতে ৮৪/৬।
ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারিকে (০) বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন স্পিনার মেহেদি হাসান। নাসুম আহমেদ পরের ওভারে ফিরিয়ে দেন আরেক ওপেনার জশ ফিলিপিকে (৯)।
তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসেই সাকিব আল হাসান বোল্ড করেন ময়জেস হেনরিকসকে (১)। ফলে ২.১ ওভারেই মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া।
এরপর ম্যাথু ওয়েড ও মার্শ মিলে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ৩৮ রান। দশম ওভারে ১৩ রান করা ওয়েডকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নাসুম। দারুণ এক ক্যাচ নেন মোস্তাফিজ।
১৪তম ওভারে নাসুমের বলেই হিট উইকেট হয়ে ফিরে যান অ্যাগার। ১২ বলে ৭ রান করেন তিনি। নিজের পরের ওভারে আক্রমণে এসে নাসুম তুলে নেন অস্ট্রেলিয়ার ভরসা হয়ে থাকা মার্শকে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে যারা ৭ উইকেটে ১৩১ রানের পুঁজি গড়ে।
সর্বোচ্চ ৩৬ রান এসেছে সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে। ৩৩ বলে ৩ চারে এই রান করেন তিনি। ওপেনার নাঈম ২৯ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় করেন ৩০ রান। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২০ বলে ২০, আফিফ হোসেন ধ্রুব ১৭ বলে ২৩ রান করেন।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল জস হ্যাজলউড। মিচেল স্টার্ক নিয়েছে ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা ও আন্দ্রে টাই।