তিনি বলেন, চার দিন আগে উত্তরা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন নাসির ইউ মাহমুদ নামে ওই ব্যক্তি। তিনি নিজেকে উত্তরা বোট ক্লাবের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন। শুধু তাই নয়, তার পরিচিত কস্টিউম ডিজাইনার জিমিকেও মারধর করা হয়।
পরীমনি জানান, তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয় ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। তিনি সেখানে অজ্ঞান হয়ে যান। রাত আড়াইটার দিকে বনানী থানায় অভিযোগ করেন এ বিষয়ে। থানা অভিযোগ নিলেও তাকে অভিযোগের কপি দেওয়া হয়নি। সেদিন রাতে ওই ক্লাবে ওই ব্যক্তি পরীমনির গায়ে হাত তোলেন বলেও জানান তিনি।
এ নায়িকা জানান, তার ব্যক্তিগত কস্টিউম ডিজাইনার জিমির বন্ধু ব্যবসায়ী অমির আমন্ত্রণে সেদিন জেমিকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরা বোট ক্লাবে যান। সেখানে তাকে পানীয় গ্রহণ করতে বলা হয়। এরপর তার সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন নাসির ইউ মাহমুদ। এক পর্যায়ে শুরু হয় মারধর। এ সময় অমিকে নিরব থাকতে দেখা যায় বলেও দাবি করেন পরী।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেখানে অজ্ঞান হয়ে যান পরীমনি। এরপর রাত ২টা থেকে আড়াইটার দিকে তিনি সুস্থ হয়ে বনানী থানায় যান।
পরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি সুইসাইড করার মতো মেয়ে নই। আমি সুইসাইড করতে চাই না। তারপরও যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে তার জন্য সেই ব্যক্তিরা দায়ী থাকবে।’
পরী আরও বলেন, ‘গত চারদিন ধরে আমি সাধারণ মেয়ে হিসেবে দ্বারে দ্বারে বিচার চেয়েছি কিন্তু পাইনি। আজ তাই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছি। আমি আজ বুঝতে পারছি, সাধারণ মেয়েদের অবস্থা কী হয়।’
এর আগে ১৩ জুন রাত ৮টার দিকে পরীমনি নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে তাকে রেপ ও হত্যা করার চেষ্টার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকট ন্যায্য বিচার প্রার্থনা করেন।