Sunday, April 28, 2024
HomeScrollingমুক্তিযোদ্ধার তালিকায় বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা

মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের নামের চূড়ান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৯১ জন শহিদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় শীর্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানের নাম রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বিকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এই তালিকা প্রকাশ করেন.

তালিকায় ঢাকা বিভাগের বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ৩৭ হাজার ৩৮৭ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০ হাজার ৫৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ হাজার ৫৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ১৭ হাজার ৬৩০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ হাজার ৫৮৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ হাজার ৮৯৯ জন, রংপুর বিভাগে ১৫ হাজার ১৫৮ জন, সিলেট বিভাগে ১০ হাজার ২৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।

প্রকাশিত এই তালিকা আজকেই (বৃহস্পতিবার) মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, আরো যাচাই-বাছাই এবং আপিল শুনানি শেষে ৩০ জুন ২০২১ এর মধ্যে যাচাই-বাছাইধীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা পরের ধাপ ৩০ জুন প্রকাশ করা হবে।

মোজাম্মেল হক বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে গ্যাজেটধারী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। নতুন করে আর কেউ মুক্তিযোদ্ধা আবেদন করতে পারবে না। যারা আগে আবেদন করে রেখেছেন তারা শুধু রিভিউ ও আপিল করতে পারবেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় গণশহিদদের কীভাবে সম্মানিত করা যায় সেটা আমরা ভাবছি।

মন্ত্রী বলেন, প্রকাশিত তালিকায় যদি কারও কোনো তথ্যে মিল না থাকে তাহলে ভাতা পেতে বিভ্রান্ত হতে পারে। সেজন্য আমরা এক বছর যাচাই-বাছাই করেছি। শতবাগ নির্ভুল করার জন্য সময় নিয়েছি। তারপরও ভুল থাকতে পারে। তবে সেই ভুল তেমন বড় কোনো কিছু হবে না।

তিনি বলেন, আজকে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৫ জনের নাম প্রকাশ করা হলো। বাকিদের যাচাই-বাছাই করে তালিকা প্রকাশ করা হবে। মোট ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি হবে না বলে জানান মন্ত্রী।

তালিকায় জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের নাম প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাকের নামসহ অনেকেই এই মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আছে। তারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে। কিন্তু অপকর্মসহ যেমন বঙ্গবন্ধুর খুনের সহযোগিতা ও খুনি হিসেবে তাদের নামের পাশে তাদের কর্ম উল্লেখ থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটি যার যার অর্জন। সেটা কেউ বাতিল করতে পারবে না। তবে তাদের খেতাব বাতিলের বিষয়ে একটি কমিটি হয়েছে। খেতাবটা একটি সম্মান। সেটি যে কোনো সরকার সম্মান দিতে পারেন, আবার চাইলে যে কোনো অপরাধের জন্য ফিরিয়ে আনতে পারেন।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments