অজ্ঞাত কারণে জামালপুরে দায়েরকৃত নাশকতার মামলার আসামীরা এখনও ধরাছোয়ার বাইরে। অপরদিকে আওয়ামী লীগৈর দোসর অস্ত্রবাজরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন নিরব।
জানা গেছে, জুলাই-আগস্টের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করে দিতে আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মী জামালপুরে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া ও প্রদর্শন করে জনমনে ভীতির সঞ্চার করতে হামলা, ভাংচুর অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক নাশকতা চালায়। এ ঘটনায় ৫ আগস্টের পর জামালপুর জেলা জুড়ে মোট ৩১টি মামলা দায়ের করা হয়। অথচ অদৃশ্য খুটির জোড়ে এবং থানা পুলিশের নিরবতায় এজাহারভুক্ত এসব আসামীসহ আওয়ামী লীগের ডাকসাইটে নেতৃবৃন্দ এখনও প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। তাই জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তন্মধ্যে আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে খ্যাত জামালপুর শহরের পাথালিয়া নিবাসী এবং জামালপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাবেক প্রভাবশালী কাউন্সিলর, জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি দলিল লেখক জাহিদুল ইসলাম সেলিম অন্যতম এক উদাহরণ। সে পতিত আওয়ামী সরকারের সময়ে জামালপুর সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দাপটের সাথে ঘুষ-দুর্নীতির রাম রাজত্ব কায়েম করে কোটি টাকার মালিক বনে যায়। সে সময় তার নিয়ন্ত্রণে চলতো পুরো সাব রেজিস্ট্রি অফিসটি। সাধারণ দলিল লেখকদের জিম্মি করে এবং অফিসের কর্তা ব্যক্তিদের দলীয় প্রভাবে কোনঠাসা করে একক আধিপত্য বিস্তার করেছিল সে। অথচ ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পরও এখনও আগের কায়দায় অফিসটিকে জিম্মি করে বহালেই রয়ে গেছে সে। কিন্তু দেখার নেই কেউ। এদিকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এই আওয়ামী লীগের দোসর ভোল পাল্টে তার ছেলেকে বিএনপির সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় করতে ইঠে পড়ে লেগেছে। শুধু তাই নয়, অফিসের নিয়ন্ত্রণ আবারও পুরো দস্তুর হাতিয়ে নিতে তার ছেলেকে এগিয়ে দিয়ে বর্তমানে এই অফিসে সকল ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি তাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হলেও টনক নড়েনি জামালপুরের পুলিশ প্রশাসনের।
অনতিবিলম্বে সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মতো জনগুরুত্বপুর্ণ অফিসের দুর্নীতিবাজ চক্রের মুলহোতা দলিল লেখকরুপী পতিত স্বৈরাচারের অন্যতম দোসর জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সেলিম চক্রকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মহল।