ম্যানেজার কারিশ্মা প্রকাশের সঙ্গে দীপিকা পাড়ুকোনের মাদক চ্যাট মিথ্যা নয়, সত্যি। হোয়াটসঅ্যাপের সেই গ্রুপে মাদক নিয়ে ‘ডি’ এবং ‘কে’-র যে কথোপকথন হয়েছিলো তা দীপিকা (ডি) এবং কারিশ্মারই (কে) চ্যাট।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেরায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) কাছে স্বীকার করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। একই সঙ্গে দীপিকা এ-ও জানান, মাদক নিয়ে আলোচনা করলেও, তিনি নিজে মাদক নেননি কোনো দিন।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে দশটা নাগাদ মুম্বাইয়ের কোলাবা অ্যাপালো বন্দরের এভলিন গেস্ট হাউসে এসআইটির দপ্তরে মাদক কাণ্ডে জিজ্ঞাসবাদের জন্য পৌঁছান দীপিকা। এর কিছুক্ষণ পরেই সেখানে ঢুকতে দেখা যায় সুশান্তের ম্যানেজার কারিশ্মা প্রকাশকে। গতকালও কারিশ্মাকে জেরা করেছিলো এনসিবি। এই মুহূর্তে দীপিকা এবং তার ম্যানেজার কারিশ্মাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করছে এনসিবি।
মাদককাণ্ডে দীপিকার নাম জড়িয়ে যাওয়ার নেপথ্যে মূলত বছর তিনেক আগের এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। গত সোমবার এনসিবির হাতে আসে ওই চ্যাট। তাতে দেখা গিয়েছিল, ‘ডি’ এবং ‘কে’ নামে দুই ব্যক্তির মধ্যে মাদক নিয়ে বেশ কিছু কথাবার্তা হয়েছে। কখনো ‘ডি’, ‘কে’র কাছে হ্যাশ চেয়েছে আবার কখনো বা ‘কে’ তাকে হ্যাশের জোগানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বলিউডের একাংশ দাবি করেছিলেন ওই ‘ডি’ এবং ‘কে’ যথাক্রমে দীপিকা এবং পাড়ুকোন এবং কারিশ্মা প্রকাশ।
ঘটনা আরো জটিল হয়ে যায়, যখন এনসিবির বারেবারে জিজ্ঞাসবাদের ফলে সুশান্তের প্রাক্তন ট্যালেন্ট ম্যানেজার কার্যত এনসিবির কাছে এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথা স্বীকার করে নেন।
জয়ার কথার সূত্র ধরে জানা যায়, কারিশ্মা, জয়া এবং দীপিকা, এই তিনজনের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিলো। জয়াই খুলেছিলেন গ্রুপটি। অ্যাডমিন ছিলেন দীপিকা এবং সদস্য ছিলেন কারিশ্মা। ‘ফাঁস’ হওয়া সেই চ্যাট আদপে ওই গ্রুপেরই।
এ দিন দীপিকাও জেরায় সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলেই খবর। প্রশ্ন, তিন বছর আগের এক চ্যাটের ভিত্তিতে ঠিক কতটা খেসারত দিতে হবে বলিউডের এই ‘এ লিস্টার’কে? আপাতত পাঁচ ঘণ্টা ধরে এনসিবি অফিসে জেরা চলছে তার।
শনিবার সকালে একেবারে সাদামাটা পোশাকেই এনসিবির দপ্তরে পৌঁছান দীপিকা। তারকা সুলভ কোনো কিছুই দেখা যায়নি তার অভিব্যক্তিতে। কালো চশমায় চোখও ঢেকে রাখেননি। বরং করোনা কালে সতর্কবিধি মেনে মুখ ঢাকা ছিলো মাস্কে।
এমনকি এ দিন যে গাড়িতে চেপে তিনি এনসিবি-র দপ্তরে পৌঁছান, তাও ছিল যথেষ্ট সাদামাটা। কোটি কোটি টাকার একাধিক বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হলেও, এ দিন ‘হুন্ডাই’-এর একটি সাধারণ মডেলকেই বেছে নেন দীপিকা।
সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর মতো তথাকথিত ‘ফ্লপ’ নায়িকার দামি ও বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার নিয়ে এর আগে নানা প্রশ্ন উঠেছিলো। গাড়ির ব্যবহারে মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে, তা বিলক্ষণ জানতেন দীপিকা। তাই যে গাড়িতে চেপে এনসিবির দপ্তরে যাবেন, তা নিয়ে বাড়তি আলোচনা চাননি বলেই তিনি সাধারণ গাড়ি বেছে নেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দীপিকা-কারিশ্মার পাশাপাশি মাদক যোগে আজ সারা আলি খান এবং শ্রদ্ধা কাপুরকেও জেরা করছে এনসিবি।