Saturday, April 27, 2024
HomeScrollingবঙ্গবন্ধু কক্সবাজারকে ঘিরে নানা স্বপ্ন দেখতেন:প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু কক্সবাজারকে ঘিরে নানা স্বপ্ন দেখতেন:প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক।।

কক্সবাজারকে ঘিরে সরকার আলাদা পরিকল্পনায় হাঁটছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দীর্ঘতম সৈকতের শহর কক্সবাজারকে সিঙ্গাপুর, ব্যাংককের আদলে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ কারণে এখানে চলমান সবচেয়ে বড় প্রকল্প। চলছে এক্সক্লুসিভ জোনসহ ইকোট্যুরিজম ও রেললাইনের কাজ।

তিনি বলেন, এসবের পূর্ণতার অন্যতম অনুষঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। স্থলের পাশাপাশি সমুদ্রের জলের উপর রানওয়ে সমেত অত্যাধুনিক বিমানবন্দরটি বাস্তবায়ন হলে দিবারাত্রি ফ্লাইটে কক্সবাজার হবে ব্যস্ততম সিটি।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রবিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজ উদ্বোধন করেন।

তিনি বলেন, ‘সরকার দেশের ভৌগোলিক অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের একটা কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত করতে চায়। সেক্ষেত্রে, কক্সবাজার হবে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সি-বিচ ও পর্যটন কেন্দ্র এবং অত্যন্ত আধুনিক শহর। যাতে আর্থিকভাবেও আমাদের দেশ অনেক বেশি লাভবান হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারকে ঘিরে নানা স্বপ্ন দেখতেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই স্বপ্নে রয়েছে কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিকমানে তৈরি করার পরিকল্পনাও। তার প্রচেষ্টায় ঝাউবন স্থাপন করেছে। তার রেখে যাওয়া পরিকল্পনারই অংশ কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ।

কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন শহর করা হবে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ইতিমধ্যে গড়ে উঠেছে দীর্ঘ মেরিনড্রাইভ সড়ক। এটিকে চট্টগ্রামের মিরসরাই পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। রেললাইনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে গেছে কক্সবাজার। এসব পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে কক্সবাজার, যেমনটা জাতির পিতা চেয়েছেন।

বাংলাদেশ থেকে আরও কিছু আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেমন নিউ ইয়র্ক, টরন্টো, সিডনির মতো দূরত্বে ফ্লাইট পরিচালনা। এই দূরত্বে চলার মত ড্রিমলাইনার আমাদের আছে, বিমান আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ করে, আমাদের দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগটা বাড়াতে হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হলে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু এই পশ্চিমাদের দিকে মুখ করে থাকব না। পাশাপাশি আমরা অন্যান্য যে সমস্ত দেশগুলো আছে, আমাদের বন্ধুপ্রতীম, সেখানেও আমাদের বিমান যাতে যায় ভবিষ্যতে, আমরা সেই চেষ্টাই করবো।’

শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের যে সৈয়দপুর বিমানবন্দর, এই বিমানবন্দরটাকেও আমরা উন্নত করতে চাইছি। একটা আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে যেন উন্নত হয়, যাতে ভুটান ,নেপাল বা ভারতের কয়েকটা রাজ্য এই বিমাবন্দরটা ব্যবহার করতে পারে।

ভিডিও কনফারেন্সে কক্সবাজার থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোখলেছুর রহমান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ অংশ নেন।

বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নয় হাজার ফুট দীর্ঘ একটি রানওয়ে রয়েছে।

এটি ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত করার কাজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো। এর মধ্যে এক হাজার ৩০০ ফুট থাকবে সমুদ্রের বুকে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হচ্ছে এই রানওয়ে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর, ৭৪৭-৪০০ ও এয়ারবাসের মতো উড়োজাহাজ সহজেই ওঠা-নামা করতে পারবে।

প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যার পুরোটাই অর্থায়ন করছে বেবিচক। এর মাধ্যমে অত্যাধুনিক বিমানবন্দরের সারিতে নাম লেখালো কক্সবাজার বিমানবন্দর।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments