রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডার চাপায় নিহত পাঁচজনের মরদেহ এখনও বুঝে পাননি স্বজনরা।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে রাখা লাশের ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সেই অপেক্ষায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন স্বজনরা। মর্গের সামনে স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে হাসপাতালের পরিবেশ।
এর আগে, সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডার চাপায় পাঁচজন নিহত হন। হতাহতরা ঢাকায় একটি বৌভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন।
গাড়িটিতে থাকা সাতজনের মধ্যে পাঁচজান মারা যান। এরমধ্যে দুই শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছেন। নিহতরা হলেন- রুবেল (৫০), ঝরণা (২৮), ফাহিমা (৪০), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)।
ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১) নামে নবদম্পতি গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্বজনরা জানান, ফাহিমা হলেন নববধূ রিয়া মনির মা। আর ঝরণা তার খালা। রুবেল সম্পর্কে ফাহিমা-ঝরণার বেয়াই। জান্নাত ও জাকারিয়া ঝরণার সন্তান। ফাহিমা-ঝরণাদের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুরে। আর রুবেলের বাড়ি মেহেরপুরে।
এদিকে, এ দুর্ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। সোমবার রাতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কমিটিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আরবান ট্রান্সপোর্ট অনুবিভাগ) নীলিমা আখতারকে প্রধান করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে একদিনের মধ্যে প্রাথমিক ও দুদিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না গ্যাঝুবা গ্রুপ করপোরেশনের (সিজিজিসি) বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলা হয়েছে। এছাড়া মামলায় ক্রেনের চালক ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। ব্যক্তি হিসেবে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতদের।