বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্যে বিদেশে নিতে পরিবারের আবেদন বিষয়ে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তবে দ্রুত সময়ে মতামত দিয়ে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সময় শেষ হয়ে যাওয়ায়’ বৃহস্পতিবার আর সে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আইন মন্ত্রণালয়ে খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে মন্ত্রীর গুলশানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নথি নিয়ে যান আইন সচিব গোলাম সারওয়ার।
এরপর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় খালেদা জিয়ার সাজা ও দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছিল। দুটি নির্দিষ্ট শর্তে তাকে সাময়িক মুক্ত দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, যেহেতু এখানে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা সম্পাদন হয়ে গেছে, এরপর এটাকে আবার ওপেন করার স্কোপ আছে কিনা; সেটা দেখে আমাদের অভিমত যথাশীঘ্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিব।
রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের পক্ষ থেকে ‘মৌখিক অনুমতি’ পাওয়া গেছে বলে পরিবার জানায়।
পরিবার জানায়, ইতিমধ্যে তাকে বিদেশে নেয়ার সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে পরিবারের পক্ষ থেকে। ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে যুক্তরাজ্যে যাবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশ রূপান্তরকে এ কথা জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার এক স্বজন।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার একটি ফ্লাইটে বিএনপি চেয়ারপারসন ঢাকা ত্যাগ করতে পারেন।
তিনি বলেন, গত বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন জমা দেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সরকার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছে। রাতেই আবেদন আইন সচিবের কাছে পাঠানো হয়।
গত বুধবার খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তার অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানো হয়।