Friday, April 26, 2024
HomeScrollingএক নজরে ম্যারাডোনা

এক নজরে ম্যারাডোনা

আর্জেন্টিনার এক শ্রমিক পরিবারের পঞ্চম সন্তান। বিশ্ব ফুটবলের অবিসংবাদী রাজপুত্র। মেক্সিকো বিশ্বকাপে একটা সাধারণ আর্জেন্টিনা দলকে যিনি একক প্রচেষ্টায় এনে দিয়েছিলেন বিশ্বকাপ শিরোপা। তিনি ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা।

কিংবদন্তি এই ফুটবল তারকা বুধবার পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে। যার জীবনের বাঁকে বাঁকে বিতর্ক, তাকে টপকে কেবল ফুটবলেই যাপন। বিশ্ব হারাল তার এমন এক কৃতী সন্তানকে, যার চর্চায় আগামী আরো কত যুগ যে কেটে যাবে।

এক নজরে দেখে নেওয়ার যাক ম্যারাডোনাকে-

* বুয়েনস আইরেসে বড় হয়ে ওঠা মারাদোনা মাত্র ১৬ বছর বয়সে  সুযোগ পান আর্জেন্টিনার জুনিয়র দলে। টানা ৫ বছরে খেলেন ১৬৭ ম্যাচ, গোল করেন ১১৬।

* ১৭ বছর বয়সেই আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে সুযোগ পান।

* বোকা জুনিয়র্সে মাত্র ১ বছর খেলেন। তারপরেই বার্সেলোনা। ৪০ ম্যাচে করেন ২৮ গোল!

* হঠাৎই বার্সেলোনা ছেড়ে যোগ দেন নাপোলিতে। নাপোলির হয়ে খেলেন ১৮৮ ম্যাচ। গোল করেন ৮১।

*দেশের হয়ে ৪টি বিশ্বকাপ খেলেন তিনি। ১৯৮২ তে প্রথম। ততদিনে বিশ্ব ফুটবলে নিজের ছাপ রাখতে শুরু করেছেন। প্রথম বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার পেরিয়ে মাত্র ২ গোল।

*তারপরই ইতিহাস। ১৯৮৬। মহাতারকার জন্ম। আপাত সাধারণ আর্জেন্টিনা দল নিয়ে পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে তোলেন অধিনায়ক ম্যারাডোনা।

*১৯৯০-এ মধুর প্রতিশোধ নেয় জার্মানি। দলকে ফাইনালে তুলেও ম্যারাডোনার হাতে উঠল না বিশ্বকাপ।

*১৯৯৪-এ খেলেন শেষ বিশ্বকাপ। তবে তা ছিল নেহাতই কলঙ্কময়। মাদক পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে মাত্র ২ ম্যাচ খেলেই ফিরে যেতে হয় দেশে।

*দেশের হয়ে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল করেন ম্যারাডোনা।

*ক্লাব ফুটবলে করেছেন ২৫৯ গোল। ম্যাচ খেলেছেন ৪৯১।

*১৯৯৪ সালেই কোচ হিসেবে  কাজ শুরু করেন। কিন্তু ফুটবলার হিসেবে যে উচ্চতায় বিরাজ করেছেন, তার ধারেকাছেও ছিল না তার কোচিং জীবন।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments