Friday, April 26, 2024
HomeScrollingঅঘোষিত লকডাউন গোটা দেশ

অঘোষিত লকডাউন গোটা দেশ

স্টাফ রিপোর্টার-

সব ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলা। মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশের সব জেলার সাথে রাজধানী ঢাকার ট্রেন, বিমান ও নৌযান চলাচল বন্ধ হচ্ছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কার্যত লকডাউনের পথে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) রাত ১২ টা থেকে অভ্যন্তরীণ সব রুটে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ খবর জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ।

রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে সব ধরণের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। এরইমধ্যে যেসব ট্রেনগুলো বেইজ স্টেশন থেকে ছেড়ে এসেছে সেগুলো আবার ফিরে যাবে।

সদরঘাট। পূর্বপশ্চিম

সদরঘাট।

সেসময় যাত্রী পরিবহন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে রেলমন্ত্রী বলেন, যদিও আমরা পরিবহনের উদ্দেশ্যে পরিচালনা করছি না, তবে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কেউ ট্রেনে উঠে বসলে সেটা ভিন্ন বিষয়।

তবে পণ্য পরিবহনের জন্য মালবাহী ট্রেনগুলো চলাচল করবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে নৌপথে লঞ্চ, ছোট নৌকাসহ সব ধরণের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। নৌ পরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ কথা নিশ্চিত করেন।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ছবি: পূর্বপশ্চিম

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

তিনি বলেন, যাত্রীবাহী নৌযান না চললেও পণ্যবাহী নৌযানগুলো চলাচল করবে।

সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে সব ধরণের গণপরিবহন বৃহস্পতিবার থেকে ‘লকডাউন’ করা হবে। বাংলাদেশের কোন সড়কে কোন রকম যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করবে না।

তবে গণপরিবহনে লকডাউন কার্যকর থাকবে পরবর্তী দশদিন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ নির্দেশনা দিয়েছেন।

কমলাপুর রেলস্টেশন। ছবি: পূর্বপশ্চিম

কমলাপুর রেলস্টেশন।

নির্দেশনাগুলো হলো :

১. আগামী ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটি। এরপর ২৭ ও ২৮ মার্চ সরকারি সাপ্তাহিক ছুটি। ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত পরবর্তী পাঁচ দিন সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এছাড়া ৩ ও ৪ এপ্রিলের সাপ্তাহিক ছুটি সাধারণ ছুটির সঙ্গে যোগ হবে। অর্থাৎ ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান ছুটির আওতায় থাকবে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতালসহ জরুরি যেসব সেবা রয়েছে তার জন্য এসব প্রযোজ্য হবে না। জনসাধারণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ ক্রয় ও চিকিৎসা গ্রহণ ইত্যাদি) কোনোভাবেই ঘরের বাইরে না আসার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইতিপূর্বে স্কুল ছুটি ঘোষণার পর দেখা গেছে অনেকেই দেশের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে গেছেন। সাধারণ ছুটি মানে সরাসরি আইসোলেশন না হলেও নিজেকে পৃথক রেখে অন্যকে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা।

২. এ সময়ে যদি কোনো অফিস-আদালতে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করতে হয় তাহলে তাদের অনলাইনে সম্পাদন করতে হবে। সরকারি অফিস সময়ের মধ্যে যারা প্রয়োজন মনে করবে তারাই শুধু অফিস খোলা রাখবে।

সদরঘাট। ছবি: পূর্বপশ্চিম

সদরঘাট।

৩. গণপরিবহন চলাচল সীমিত থাকবে। জনসাধারণকে যথাসম্ভব গণপরিবহন পরিহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে গণপরিবহন ব্যবহার করবে তাদের অবশ্যই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়া থেকে মুক্ত থাকতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেই গণপরিবহন ব্যবহার করতে হবে। গাড়ি চালক ও সহকারীদের অবশ্যই গ্লাভস এবং মাস্ক পরাসহ পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৪. জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

৫. ২৪ মার্চ থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে সশস্ত্র বাহিনী জেলা প্রশাসনকে সহায়তায় নিয়োজিত থাকবে। দেশের ৬৪ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাদের স্ব স্ব জেলার প্রয়োজন অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীর জেলা কমান্ডারকে রিকুইজিশন দেবে।

বাড্ডায় গার্মেন্টসে কাজ করছেন শ্রমিকরা। ছবি: পূর্বপশ্চিম

বাড্ডায় গার্মেন্টসে কাজ করছেন শ্রমিকরা।

৬. করোনাভাইরাসের কারণে নিম্নের কোনো ব্যক্তি যদি স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম হয় তাহলে সরকারের যে ঘরে ফেরার কর্মসূচি রয়েছে , সে কর্মসূচির মাধ্যমে তারা নিজ নিজ গ্রামে ফিরে গিয়ে আয় বৃদ্ধির সুযোগ পাবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকরা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন।

৭. ভাসানচরে এক লাখ লোকের আবাসন ও জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এ সময় যদি দরিদ্র কোন ব্যক্তি ভাসানচরে যেতে চান তাহলে তারা যেতে পারবেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকরা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন।

৮. করোনাভাইরাসজনিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় অন্নসংস্থানের অসুবিধা নিরসনের জন্য জেলা প্রশাসকদের খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এ সহায়তা প্রদান করা হবে।

শাখারিবাজারে মন্দিরের চিত্র। ছবি: পূর্বপশ্চিম

শাখারিবাজারে মন্দিরের চিত্র।

৯. প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৫০০ জন চিকিৎসকের তালিকা তৈরি ও তাদের প্রস্তুত রাখবে।

১০. সব ধরনের সামাজিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাগম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষ করে অসুস্থ জ্বর সর্দি কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মসজিদে না যাওয়ার জন্য বারবার নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও সম্প্রতি মিরপুরে একজন বৃদ্ধ অসুস্থ অবস্থায় মসজিদে যান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি পরে মৃত্যুবরণ করেন। তাই ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের প্রতি অসুস্থ অবস্থায় মসজিদে নামাজ আদায় করতে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

এদিকে গণপরিবহনে লকডাউন উপেক্ষা করেই সোমবার ছুটি ঘোষণার পর রাজধানী ঢাকা ছেড়েছেন অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রেন স্টেশন ও বাস স্টেশনে মানুষের ভিড়ের ছবিও ছড়িয়ে পড়ে। সোমবারই লক্ষ্মীপুরে ফিরেছেন আল আমিন। তিনি জানান, সোমবারও সায়েদাবাদে উপচে পড়া মানুষের ভিড় ছিল। তিনি আলাদাভাবে বাস ভাড়া করে ফিরলেও তার এক বন্ধু সায়েদাবাদ বাস স্টেশনে সোমবার বিকেলে গিয়ে টিকেট না পেয়ে গভীর রাতে বাসে করে বাড়ি ফেরেন।

মহাখালী বাস টার্মিনাল। ছবি: পূর্বপশ্চিম

মহাখালী বাস টার্মিনাল।

ট্রেনে করে নীলফামারি ফিরতে চেয়েছিলেন এইচ এম ফরহাদ আর তার ছোট ভাই। তারা জানান, ছুটি ঘোষণার পর পরিবারের চাপেই ঢাকা থেকে নীলফামারি ফেরার জন্য সোমবার ট্রেনের টিকেট করে রাখেন তিনি।

তবে মঙ্গলবার সব ধরণের ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করার পর তাদের যাওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

তবে পরিবহন বন্ধের ঘোষণা আসার আগেই লঞ্চে করে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন সবুজ আলম ফিরোজ। ঢাকায় বন্দি অবস্থায় থাকতে হবে বলে গ্রামের বাড়িতে ফেরার সিদ্ধান্তের কথা জানান মিস্টার আলম। তিনি বলেন, বাসা থেকে বের হয়ে লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখতে পান, শুধু তিনি একা নন, তার মতো আরো অনেক মানুষ বাড়ি ফিরছে।

তিনি বলেন, মনে হচ্ছে যে, ঈদের ছুটির মতো মানুষ ফিরছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সময়টাতে কেন বাড়ি ফিরছেন এমন প্রশ্নে সবুজ আলম ফিরোজ বলেন, বাড়ির লোকজন চিন্তা করছে বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। বুঝি যে না গেলেই বেটার হতো। কারণ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে পুরো একটা গ্রামও সাফ হয়ে যেতে পারে। আমি বুঝি। কিন্তু মা যেতে বলেছে আর মনও মানছে না।

নীলক্ষেত। ছবি: পূর্বপশ্চিম

নীলক্ষেত।

এদিকে মঙ্গলবারও নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে, গণপরিবহন ব্যবহারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর এর পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। সবাইকে সতর্ক করে বলেন, কেবল জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাবেন। সাবান পানি দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে। নাক-মুখ ঢেকে কাশি দিবেন। আক্রান্ত রোগী থেকে দূরে থাকবেন। অসুস্থ হলে ঘরের বাইরে যাবেন না। গণপরিবহনে প্রয়োজন ছাড়া উঠবেন না। বয়স্ক মানুষ দরকার ছাড়া বাহিরে যাবেন না। এক মিটার দূরত্বে দাঁড়িয়ে কথা বলুন।

ছুটি পেয়ে বাসে করে মঙ্গলবার রাতে গ্রামের বাড়ি শেরপুরে ফিরছেন গৃহকর্মী শাহিদা বেগম। তিনি জানান, রোগের কথা জানেন তিনি। তবে ঢাকায় পরিচিত কেউ না থাকায় সংকটের মুহূর্তে গ্রামেই ফিরে যাচ্ছেন তিনি। সবাই যাইতেছে। যে বাসায় থাকি, তার সব কিছু খালি হইয়া যাইতেছে। একলা কি করুম। তাই যাইতেছি। দেশ-গেরামে তো মা-বাপ-ভাই-বোন সবাই আছে। এই খানে তো কিছু হইলে কেউ কাউরে ধরে না, কাছে আসবো না। ওই খানে তো কেউ ডরায় না, তাই যাইতেছি।

কমলাপুর রেলস্টেশন। ছবি: পূর্বপশ্চিম

কমলাপুর রেলস্টেশন।

আইইডিসিআর এর সাবেক পরিচালক ডা. মাহমুদুর রহমান বলেন, এমন অবস্থায় ঝুঁকি তো কিছুটা থাকেই।

তার মতে, সংক্রমণের হার কম থাকলে ঝুঁকিও তেমন একটা থাকে না। তবে সংক্রমণের হারটা বেশি থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিন্তু আমরা তো আসলে জানতে পারছি না যে আক্রান্তের হারটা কেমন।

ভ্রমণ করলে সংক্রামক রোগের ঝুঁকি এমনিতেই বাড়ে বলে জানান তিনি। আর এর কারণেই আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ও ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়।

মানুষ যে গ্রামে ফিরছে এতে করে মিক্সিং হওয়ার একটা শঙ্কা আছে। অর্থাৎ গ্রাম থেকে সংক্রমণ শহরে আসতে পারে আবার শহর থেকেও গ্রামে যেতে পারে।

মঙ্গলবার থেকে বিমান, ট্রেন ও নৌযান চলাচল সারাদেশে বন্ধ থাকলেও সড়ক পরিবহন অর্থাৎ যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ হবে বৃহস্পতিবার থেকে।

আর ২৬ তারিখ থেকে ছুটি ঘোষণা হওয়ায় এই মাঝের সময়টাতে মানুষ গ্রামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পায়। এমন সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী কিনা এমন প্রশ্নে ডা. মাহমুদুর রহমান বলেন, সেক্ষেত্রে বলতে হবে যে, সরকারের সিদ্ধান্তে কৌশলগত ত্রুটি ছিল। সেক্ষেত্রে আমি বলবো স্ট্রাটেজিটা প্রোপার হয়নি।

গাবতলী। ছবি: পূর্বপশ্চিম

গাবতলী।

এদিকে প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু করে সব রকমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আগামী ২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। ওই সময় পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে এবার ছুটি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

এর আগে করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমনকি এইচএসসি পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।

অন্যদিকে ১০ দিনের ছুটিতে নাগরিকদের গ্রামের বাড়ি বা নিজ নিজ জেলায় যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছে বাংলাদেশ পুলিশ। মঙ্গলবার দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এক বার্তায় এ কথা জানায় পুলিশ সদরদপ্তর।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments