অর্থনৈতিক সংকটের ফলে শ্রীলঙ্কার মতো সরকারবিরোধী বিক্ষোভ বিশ্বের অনেক দেশেই ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা।
তিনি বলেন, সমাজের দরিদ্রতম সদস্যদের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারকে খাদ্য ও জ্বালানির খরচে ভর্তুকি দিতে হবে। যদি সরকার দরিদ্রদের সাহায্য না করে তাহলে শ্রীলঙ্কার মতোই পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে দেশে দেশে।
আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভ বলেন, সরকারগুলোর প্রয়োজন খাদ্য ও জ্বালানির ক্ষেত্রে সমাজের দরিদ্র মানুষদেরকে ভর্তুকির মাধ্যমে সাহায্য করা। তা নাহলে শ্রীলঙ্কার চিত্র অন্য অনেক দেশেও দেখা যেতে পারে। কারণ পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে মানুষ সংগ্রাম করছে
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, যথাযথভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করে অগ্রাধিকারেরভিত্তিতে ভর্তুকি দিয়ে সাহায্য করা প্রয়োজন। অনেক সরকার সাহায্য দিচ্ছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এ সাহায্য যথেষ্ট নয়।
আইএমএফের প্রধান বলেন, যেহেতু মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে। সেক্ষেত্রে দুইটি প্রধান বিকল্প রয়েছে। প্রথমত, সমাজের মধ্যে যারা বেশি দরিদ্র তাদের খাদ্য ও জ্বালানি সহায়তায় অগ্রাধিকার দেওয়া। দ্বিতীয়ত, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তা করা।
সমৃদ্ধি বাড়াতে ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে সরকারগুলোর সঙ্গে কাজ করেছে আইএমএফ। তবে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে দেশে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে।
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের যথাযথ সমর্থনের অভাবে শ্রীলঙ্কায় যে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দেখা গেছে তা অন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের জেরে বিক্ষোভে টালমাটাল শ্রীলঙ্কা। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন দেশটির প্রভাবশালী নেতা মাহিন্দা রাজাপাক্ষেও। যদিও প্রবীণ রাজনীতিবিদ রনিল বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বে দেশটিতে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে এখনো কম-বেশি বিক্ষোভ ও উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।