বিশেষ এই দিনটিতে যারা জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
এক ফেইসবুক পোস্টে জয় লিখেছেন, “যারা আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ। আমি এখন অর্ধশতবর্ষী, বাংলাদেশের জন্মের সাথেই আমার পথচলা।
আওয়ামী লীগ সরকারের ১২ বছর পর বাংলাদেশ আজ একটি মধ্যম আয়ের, ডিজিটাইজড দেশ। আমি এখন একজন মধ্যবয়সী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা!”
জয় ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান। কম্পিউটারবিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি–বিষয়ক উপদেষ্টা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবার নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাদের একটি মেয়ে আছে।
জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেওয়া হয় তাকে। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ নির্বাচিত হন।
এ ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়। বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার আওয়ামী যুবলীগ বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়নে মিলাদ ও দোয়া এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিকেলে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা ও তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়ার আয়োজন করেছে।