
স্টাফ রিপোর্টার, লাইভনিউজ।।
মাদারীপুরের চরমুগরিয়া মাৰ্চেন্টস্ উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনের ঈদগাহ্ মাঠে চাঁদা না দেওয়ায় দুইজন স্বেচ্ছাসেবককে মারধর এবং হত্যার হুমকী দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা করার কথা বললে ভুক্তভোগীদের গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দিয়েছে দুর্বিত্তরা। সন্ত্রাসীদের ভয়ে ঘরের মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন ভুক্তভোগীদের। আইনি সহায়তা পেতে প্রসাশনের সহায়তা কামনা।
আরো অভিযোগ উঠেছে, মামলা করলে বাদীদের পিটিয়ে হত্যা করা হবে— সন্ত্রাসীদের এমন হুমকিতে ভুক্তভোগী মোঃ হৃদয় খালাসী এবং মোঃ সাব্বির হোসেন মাতুব্বর অভিযোগ ও মামলা করার সাহস পাচ্ছে না। বর্তমানে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ হৃদয় খালাসী বলেন, ” আমি মাদারীপুর জেলা বন্ধুমহল ডোনার সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে জড়িত। দীর্ঘদিন যাবত অসহায় মুমূর্ষ রক্তশূন্য রোগীদের বিনামূল্য রক্তদান, বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্পেইন আর আর রক্তদানে মানুষকে উৎসাহিত করে আসছি। সম্প্রতি আমি এবং আমার আরেকজন স্বেচ্ছাসেবী ভাই একটা ক্যাম্পেইন করতে গিয়েছিলাম মাদারীপুরের চরমুগরিয়া মাৰ্চেন্টস্ উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনের ঈদগাহ্ মাঠে। যাতে ওই দিক থেকে নতুন কিছু ডোনার পাওয়া যায় আর আর মানুষকে রক্তদানে উৎসাহিত করা যায়। কিন্তু ওই জায়গায় গিয়ে আমরা ক্যাম্পেইন করতে ব্যর্থ হই। আর আমাদের সাথে চরম হতাশাজনক একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। ওইখানে কিছু লোকজন আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে ক্যাম্পিং করার জন্য। আমরা টাকা দিতে কোনোভাবেই রাজি হয়নি। এই নিয়ে আমাদের দুই পক্ষের মাঝে প্রচুর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা আমাদের দুইজনকে প্রচুর মারধর করে।
এসময় আমাদের ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয় অনেকে এসে আমাদের উদ্ধার করে এবং আমাদের বাড়িতে ফিরতে সাহায্য করে।পরেরদিন সকালে ওই চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের কয়েকজন রামদা নিয়ে আমাদের দুইজনের বাড়িতে এসে ৫০ হাজার টাকা করে দাবি করে ও কোথাও কোন সাক্ষী দিলে পিটিয়ে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। ‘এখন প্রকাশ্য দিবালোকে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা আমাদের দুইজনের বাড়ীতে এসে আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিতেছে ।
কখনো নগদ অর্থ চাইছে, কখনো হত্যার হুমকি দিচ্ছে আবার কখনো গ্ৰাম ও দেশ ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে।’ আমরা ভয়ে কোন আইনগত ব্যাবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছিনা। ”
তবে এব্যাপারে আরেক ভুক্তভুগী মোঃ সাব্বির হোসেন মাতুব্বর কিছু বলতে সাহস পায়নি।
স্থানীয় জনগণের ভাষ্যমতে জানা যায়, অভিযুক্ত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা স্থানীয়ভাবে অনেক ক্ষমতাধর এবং জনবলের অধিকারী।
মাদারীপুর সদর থানার এস আই সাব্বির জানান, ওসি স্যার অফিসে নেই তবে থানায় এসে অভিযোগ করলে ওসি স্যারের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’’
