Friday, June 13, 2025
HomeScrollingবিয়ে করা ফরজ নাকি সুন্নত-বিয়ে আল্লাহপ্রদত্ত বিশেষ নেয়ামত

বিয়ে করা ফরজ নাকি সুন্নত-বিয়ে আল্লাহপ্রদত্ত বিশেষ নেয়ামত

বিয়ে আল্লাহপ্রদত্ত বিশেষ নেয়ামত। বিয়ে শুধুমাত্র জৈবিক চাহিদা পূরণের নাম নয়; বরং অন্তরের প্রশান্তি ও চরিত্র রক্ষার অনন্য উপায়। প্রথম মানব-মানবী হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-এর বিয়ের মাধ্যমে এই পবিত্র বন্ধনরীতির প্রচলন হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তার এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদেরই মধ্য হতে স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে গিয়ে শান্তি লাভ করো এবং তিনি তোমাদের পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয়ই এর ভেতর নিদর্শন আছে সেসব লোকের জন্য, যারা চিন্তা-ভাবনা করে।’ (সুরা রুম: ২১)

সাধারণ অবস্থায় বিয়ে করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। কিন্তু কোনোসময় তা জরুরি হয়ে যায়। শারীরিক-মানসিক সামর্থ্য থাকলে বিয়ে করা নবীজির গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। এই সুন্নত যত দ্রুত পালন করা যায় ততই ভালো। এতে উৎসাহ দিয়ে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন—‘হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিবাহ করে নেয়। কারণ, বিবাহ চক্ষুকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে।’ (বুখারি: ৫০৬৬; মুসলিম: ১৪০০)

আর যদি আর্থিক সামর্থ্য থাকার পাশাপাশি শারীরিক চাহিদা এতো বেশি থাকে যে, বিয়ে না করলে ব্যভিচার, ধর্ষণ বা হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ার ভয় থাকে তখন বিয়ে করা ফরজ।

আরব বিশ্বের সর্বোচ্চ ফতোয়া কমিটিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘বিয়ে সুন্নত না ফরজ?’ তখন তারা উত্তর দিয়েছিল- ‘বিয়ে সুন্নত, সামর্থ্যবানকে এর প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন রোজা পালন করে। কেননা, রোজা যৌন ক্ষমতাকে অবদমন করবে। (বুখারি: ১৯০৫) কিছু লোকের ক্ষেত্রে বিয়েটা ফরজ হয়ে যায়; যদি খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ার ভয় করে এবং বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে। (ফাতাওয়াল লাজনাদ দায়িমা লিল বুহুসিল ইলমিয়্যা ওয়াল ইফতা, ফতোয়া নং: ৯৬২৪)

আর্থিক সামর্থ্য থাকার পরও কোনো কারণে বিয়ে করতে বিলম্ব হলে গুনাহ হবে না। তবে যতটা সম্ভব দ্রুত বিয়ে করার চেষ্টা থাকা উচিত। কেননা বিয়ের কারণে চরিত্রকে হেফাজত করা যায়। দ্বীন ও ঈমানে পরিপক্কতা আসে। রাসুল (স.) বলেন, ‘যখন বান্দা বিয়ে করে, তখন সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূরণ করে। অতএব, বাকি অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’ (সহিহ আল-জামিউস সাগির ওয়া জিয়াদাতুহু: ৬১৪৮; তাবরানি: ৯৭২; মুসতাদরাক হাকিম: ২৭২৮)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর যুবক-যুবতীদের যথাসময়ে বিয়ে করার তাওফিক দান করুন। আমিন

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments