জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনের অবকাশে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (ফাইল ফটো )। ছবি: এপি

শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বৈশ্বিক গোয়েন্দা সংস্থা ফাইভ আইজ থেকে বেশ কিছু তথ্য এসেছিল কানাডার কাছে। সেই সূত্রের ওপর ভিত্তি করেই ভারতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। চাঞ্চল্যকর এই দাবি করলেন কানাডায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড কোহেন।
কয়েক দিন আগেই সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল যে আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশের গোয়েন্দাদের এই চক্রের সাহায্যেই খলিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের তদন্ত চালাচ্ছে কানাডা। এবার সেই বিষয়টিই নিশ্চিত করেন মার্কিন কূটনীতিবিদ।
ফাইভ আইজ হচ্ছে একটি বৈশ্বিক গোয়েন্দা সংস্থা। এ ইন্টারন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের সদস্য দেশ পাঁচটি। এতে কানাডা ছাড়াও রয়েছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। গোটা বিশ্বে ঘটে চলা নানান রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, সামরিক ও চরবৃত্তির ওপর এই দেশগুলো একসঙ্গে নজর রাখে। পঞ্চ চক্র হিসাবেও পরিচিত এই গোয়েন্দা সংস্থা।
কয়েক দিন আগেই কানাডার একটি সংবাদ মাধ্যম জানায়, হরদীপ সিং খুনের তদন্তে কানাডাকে সাহায্য করেছিল আরও চারটি দেশ। অর্থাৎ, এই ফাইভ আইজ গোয়েন্দা সংস্থা দেশটিকে তথ্য দিয়েছে।
এরপর সংবাদমাধ্যমের এই দাবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ফাইভ আইজের তথ্যের ভিত্তিতেই ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তবে ওয়াশিংটন পোস্টের একটি খবর একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন কোহেন। ওই খবরে বলা হয়েছিল, কানাডা চায় আমেরিকা ও অন্যান্য বন্ধু দেশগুলো যেন প্রকাশ্যে ভারতের নিন্দা করে।
প্রসঙ্গত, কানাডার সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে জানা গেছে যে একটি পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে ভারতীয় কর্মকর্তাদের কথোপকথনের ওপর আড়ি পেতেছিল কানাডা। দুই দেশের মধ্যে পাঠানো তথ্য ও সংকেতের ওপরেও নজরদারি করা হয়। এমনকি কানাডায় নিযুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভারতে থাকা কূটনীতিকদের আলোচনার দিকেও নজর রেখেছিল কানাডার গোয়েন্দা বিভাগ। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছিল এই নজরদারি প্রক্রিয়া। গোটা প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছিল ফাইভ আইজ।
সূত্র : এপি, পিটিআই
