Monday, April 29, 2024
HomeScrollingজাজিরা প্রান্তে ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে ৩০তম স্প্যান

জাজিরা প্রান্তে ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে ৩০তম স্প্যান

বিশেষ প্রতিনিধি।।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারির সময়ও থেমে নেই পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। শনিবার (৩০ মে) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে সেতুর ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে ৩০তম স্প্যান। এ নিয়ে সেতুর ৪ হাজার ৫০০মিটার অংশ দৃশ্যমান হয়েছে।

২৯তম স্প্যান বসানোর ২৬ দিনের মাথায় ৩০তম স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়েছে। আরও ১১টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে বাকি ১ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার সেতু দৃশ্যমান হবে।

শুক্রবার (২৯ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেন বহন করে রওনা দেয়। নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায় দুপুর ১টার দিকে।

জানা যায়, আগামী বছরের জুনে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে কাজ বন্ধ হয়নি পদ্মা সেতুর। কিন্তু গতি কমেছিল। করোনার প্রভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে স্প্যান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশে না আসায় কাজ বেশি বিলম্ব হচ্ছে। এ বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে চীন থেকে যে দু’টি স্প্যান দেশে আসার কথা ছিল, সেগুলো এখনও আসেনি। চীনে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় শেষ চালান পথিমধ্যে।

এদিকে, এবারের ঈদে কোনও শ্রমিক ও প্রকৌশলী ছুটি নেননি। সেতুর কাজের গতিকে সচল রাখতে কর্মস্থলে থেকেছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে এক মাসের বেশি সময় ধরে তারা সেতু প্রকল্প এলাকায় অবস্থান করছেন, যেখানে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জানা যায়, ভাসমান ক্রেনটি নোঙর করে পজিশনিং করে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে স্প্যানটিকে তোলা হয় পিলারের উচ্চতায়। রাখা হয় দুই পিলারের বেয়ারিংয়ের উপর। স্প্যান বসানোর জন্য উপযোগী সময় থাকায় এবং সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় প্রকৌশলীরা অল্প সময়ের মধ্যেই স্প্যান বসাতে সক্ষম হন। খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আগে থেকেই বিশেষজ্ঞ প্যানেল দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়। জাজিরা প্রান্তে ২৫ ও ২৬ নম্বর পিলারের উপর স্প্যান বসানো হলেই জাজিরা প্রান্তে স্প্যান বসানো সম্পন্ন হবে। বর্ষা মৌসুমের আগেই জাজিরায় বাকি থাকা একটি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ করতে চান প্রকৌশলীরা। মাওয়ায় তখন ১০টি স্প্যান বসানোর অপেক্ষা।

পুরো সেতুতে দুই হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে, এর মধ্যে বর্তমানে বসেছে ১ হাজার ১০৫টি। আর রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯১৭টি, এর মধ্যে বসেছে ৫৮১টি।

পদ্মা সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments