সোমবার (১৯ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমানের আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়। পরে আদালত তাদের জামিন দেয়।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেম (৭০), তার ছেলে হাসীব বিন হাসেম ওরফে সজীব (৩৯), তারেক ইব্রাহীম (৩৫)। এর আগে জামিন পান তাওসীব ইব্রাহীম (৩৩), তানজীম ইব্রাহীম (২১)।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, আজ (সোমবার) হাসেমসহ তার দুই ছেলের জামিন দিয়েছেন আদালত, এর আগে আরো দুই ছেলের জামিন হয়েছিল। বাকিরা কারাগারে আছেন।
এর আগে বুধবার (১৪ জুলাই) বিকেলে চার দিনের রিমান্ড শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে তারা জামিনের আবেদন করেন। আদালত আবেদনের প্রেক্ষিতে হাসেম ও তার দুই ছেলেকে জামিনের আদেশ দেন।
এর আগে গত শনিবার (১০ জুলাই) পুলিশ গ্রেপ্তার আটজনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে ৩০২, ৩২৬, ৩২৫, ৩২৩, ৩২৪, ৩০৭ ধারায় হত্যা এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে। আদালত প্রত্যেককে চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক হুমায়ুন কবির জানান, হত্যা ও হত্যার অভিযোগে ৩০২, ৩২৬, ৩২৫, ৩২৩, ৩২৪, ৩০৭ ধারায় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেমসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
গ্রেপ্তার বাকিরা হলেন শাহান শান আজাদ (৪৩), মামুনুর রশিদ (৫৩) ও মো. সালাউদ্দিন (৩০)।
এদের মধ্যে কারাগারে আছেন শাহান শান আজাদ (৪৩), মামুনুর রশিদ (৫৩) ও মো. সালাউদ্দিন (৩০)।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৯ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ সময়ের মধ্যে ঝরে গেছে ৫২ প্রাণ। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।