তিনি বলেন, দাবিগুলোর মধ্যে দু-একটা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে চাই। নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। এ সরকারের পদত্যাগের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। সংসদ বিলুপ্ত করার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। সেই সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তার মাধ্যমে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে রাখা হয়েছে, তার মুক্তি। সব রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাহারের ব্যাপারে একমত হয়েছি। একই সঙ্গে আমাদের আন্দোলনের সময় অন্যায়ভাবে কাউকে যাতে গ্রেপ্তার করা না হয়, কারো বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা না হয় সে ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।
রবিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনীতি কার্যালয়ে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপ শেষে তিনি এসব বলেন।
ফখরুল বলেন, অনির্বাচিত মানবাধিকার বিরোধী মানবাধিকার হরণকারী এবং লুটেরা আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার গড়ে তোলার লক্ষ্যে যে আন্দোলন গড়ে তোলার ঐক্য চালাচ্ছি এবং বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে যে চেষ্টা চালাচ্ছি এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সঙ্গে আমরা বসেছিলাম।
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
অপরদিকে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, অতিরিক্ত মহাসচিব, নুরুল কবির পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, রাশেদ ফেরদৌস সোহেল মোল্লা, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাহবুবুর রহমান শামিম, ঢাকা মহানগর উত্তর সেক্রেটারি জামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি আবুহানিফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেক্রেটারি আবু ইউসুফ সুমন উপস্থিত ছিলেন।