
ঢাকাই সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান তিনি। তার রহস্যজনক মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেন অভিনেতার প্রাক্তন স্ত্রী সামিরা হক। অভিনেতার মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পর আদালতের নির্দেশে তার অপমৃত্যুর মামলা, হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ।
সালমানের মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পেরিয়ে গেলেও তিনি এখনও সিনেমাপ্রেমীদের ভালোবাসায় সিক্ত। এই তারকার মৃত্যুর পর জন্ম গ্রহণ করা তরুণদের কাছেও তিনি সমান জনপ্রিয়। এবার সালমান শাহকে নিয়ে কথা বললেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী অহনা।
তিনি বলেন, ‘সালমান শাহ যদি থাকতেন তাহলে বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রি বলিউডের চেয়েও এগিয়ে যেত। কারণ একটা ছবি সব সময় সামনে আসে, শাহরুখ খান, গৌরী খান, সালমান শাহ ও তার ওয়াইফ। ওই ছবিটা দেখেই বোঝা যায় সালমান শাহ কী ছিলেন সে সময়। আর তার স্টাইল এখনও নকল করে অনেকে। তার মতো নায়ক বললেই হয়ে যায় না। এত সহজ নয়।’

সালমান শাহ বেঁচে থাকলে বলিউডের সঙ্গে ঢালিউডের মেলবন্ধন তৈরি হতো উল্লেখ করে অহনা বলেন, ‘চিন্তা করেন তো সালমান শাহ-শাহরুখ একসঙ্গে মুভি করলে কী হতো? বাংলাদেশের আর্টিস্টরা গিয়ে বলিউডে অভিনয় করতেন, বলিউডের আর্টিস্টরা এসে ঢালিউডে সিনেমা করতেন। তাই হতো, কিন্তু তা তো হচ্ছে না, হবে না।’
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর একে একে থানা-পুলিশ, সিআইডি, র্যাব, পিবিআইসহ একাধিক সংস্থা তদন্ত চালায়। সব প্রতিবেদনেই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলা হলেও সালমানের পরিবারের আপত্তিতে প্রতিবারই তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন করা হয়।
২৯ বছর পর সালমান শাহর হত্যা মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। গেল ২০ অক্টোবর এ আদেশের পরদিন ২১ অক্টোবর সালমানের মামা আলমগীর কুমকুম রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে সামিরা হককে প্রথম আসামি করা হয়।
