

শরীয়তপুর প্রতিনিধি।।
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় কীর্তি নাশা নদীতে নারী ও শিশুসহ ২০ জন যাত্রী নিয়ে খেয়া পাড়াপাড়ের নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। নদী থেকে দ্রুত যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এতে প্রাণহানির ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে সকল যাত্রী। তবে নৌকা উদ্ধার ও অপরিচিত নিখোজ কেউ আছে কিনা সে বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হতে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ মত কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।
বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস উপজেলা প্রশাসন।
দীর্ঘ ৮ বছর আগে শরীয়তপুরের নড়িয়ার ভাসা সৈনিক ডাঃ গোলাম মাওলা উড়াল সেতুর নতুন ভাবে নির্মান কাজ মুরু হলেও আজোও তা শেষ হয়নি।
নতুন ব্রীজটি নির্মানের জন্য পুরাতন ব্রীজটি গত তিন বছর আগে ভেঙ্গে ফেলা হলে রাজধানী ঢাকার সাথে নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের প্রতিদিন যাতায়াতের মাধ্যম হয়ে উঠে খেয়া পাড়াপাড়ের নৌকা।
বর্তমানে খেয়া ঘাটের ইজারা নিয়ে ছোট বড় চারটি নৌকার মাধ্যমে ৫ টাকা ও ১০ টাকা করে যাত্রীদের খেয়াপাড়াপাড় করছে ইজারাদার । তবে ইজারা নেওয়ার পড় থেকেই ব্যস্ততম কীর্তি নাশা নদীটি পাড়াপাড়ে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে আসছে সংশ্লিষ্ট ইজারাদার।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে নড়িয়া পৌরসভা বাজার ঘাট কীর্তিনাশা নদীর পূর্বপাড় থেকে মোক্তারেরচর শেহের আলী কান্দী ঘাট পশ্চিম পাড়ে যাওয়ার সময় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইকারী ছোট নৌকাটি বলগেইট এর ঢেউএ ডুবে যায়। এসময় যাত্রীরা প্রান বাচাতে সাতার কাটতে থাকে। পরে স্থানীয়রা অন্য টলার নৌকা ও স্প্রীডবোট যোগে দ্রুত উদ্ধার করে । প্রাথমিক ভাবে স্থানীয়রা ধারনা করছেন যাত্রীদের কেউ নিখোজ নেই। তারা সবাইকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছেন। দুর্ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই বন্ধে প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানোর দাবী জানান স্থানীয়রা।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাইউম খান। তিনি দুরের কোন যাত্রী নিখোজ আছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে স্থানী নড়িযা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ডুবরী দলদিয়ে নদীতে সন্ধান চালানোর কাজ শুরু করেন।
তিন সদস্যের দল নদীতে নেমে ডুবে যাওয়া নৌকার সন্ধান ও নিখোজ কেউ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন। নিখোজ কেউ নেই প্রাথমিক ধারনা করছেন তারাও।
এই দুর্ঘটনা ইজারাদারের অনিয়ম থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাইউম খান।
কীর্তিনাশা নদীর উপর নতুন ব্রীজ নির্মানের জন্য পুরাতন ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলায় বিগত তিন বছর ধরেই এই পথে খেয়াপাড়াপাড়ের মাধ্যমে নদী পাড়াপাড় হয়ে রাজধানী ঢাকার সাথে নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ প্রাণের ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। সেতুটি নির্মান কাজ দ্রুত পুনরায় শুরু করার দাবি জানান স্থানীয়রা।