

তেরখাদা সংবাদদাতা।।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর খুলনা সিভিল সার্জন অফিস মিলনায়তনে এনসিডি কর্নার ব্যবস্থাপনায় এসএসএন ও পরিসংখ্যানবিদের ভূমিকা শীর্ষক রিফ্রেইসার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রত্যেক উপজেলা হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৪ জন করে এসএসএন ও ১ জন করে পরিসংখ্যানবিদসহ সর্বমোট ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালার আয়োজনে এশিয়া আর্সেনিক নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় সিভিল সার্জন খুলনা ও নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং অর্থায়নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাপান। অনুষ্ঠানটির শুভ সূচনা করেন খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ মাহফুজা খাতুন। সিভিল সার্জন বলেন, এমন একটি আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। এনসিডি কর্ণার প্রতিটি উপজেলার হাসপাতালে উন্নত স্বাস্থ্য সেবার একটি আলোচিত উদাহরণ। ওখান থেকে সকল প্রকার অসংক্রমক রোগীদের বিনামূল্যে স্কিনিং করা, চিকিৎসা সেবা ও নিয়মিত প্রতি মাসের ঔষধ ফ্রিতে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার। এই সকল রোগীদের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি কাউন্সিলিং একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে যা মানুষের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ একটি কার্যকরি ভূমিকা পালন করে। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি উপজেলাতে একটি এনসিডি কর্ণার কে তিনি একটি সুস্থ কর্ণার মনে করেন।
ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, যে সকল উপজেলা গুলোতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা প্রতিবন্ধকতা বা চ্যালেঞ্জিং মূলক কাজ আছে, সে সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা মেডিকেল পরিচালকদের ব্যবস্থা নিতে বলতে হবে যেনো কাজ করতে অসুবিধা না হয় এবং সমস্যাগুলো অতি দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করে।
এশিয় আর্সেনিক নেটওয়ার্কের প্রজেক্ট ডিরেক্টর তরুণ কান্তি হোড় বলেন, NCD Management মডেল বাস্তবায়নের জন্য এবং সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সকলকে আরো বেশি আন্তরিক হতে হবে। পাশাপাশি কমিউনিটির সকল মানুষকে বোঝাতে হবে এই অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই এবং একবার এই রোগে আক্রান্ত হলে তাকে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনমতেই ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকা যাবে না।
আইটি অফিসার জিয়াউর রহমান রোগী নিবন্ধন, ফলোআপ, ড্রপ আউট এবং অনলাইন ডাটা বেজে এবং মাসিক রিপোর্টিং এর কাজ গুলো কিভাবে করতে হবে তার পদ্ধতিগুলো ভালো ভাবে সকলের সাথে শেয়ার করতে হবে।
ডাঃ মিজানুর রহমান, ডি সিএস এর সমাপনি বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।