
মাদারীপুর সংবাদদাতা ॥
মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খাদমসী গ্রামে লিটু মুন্সি তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ঈদের দিন সন্ধ্যার পরে ঐ গ্রামে হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা খাদমসী গ্রামের কয়েকটি বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও প্রায় ২০টি বাড়ী-ঘর ও দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এই ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছে।
এলাকাবাসী, ক্ষতিগ্রস্থ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন সন্ধ্যার পর বাড়ীর দিকে আসছিলেন কুনিয়ার খাদমসী গ্রামের সিদ্দিক মুন্সি ও তার দুই ছেলে। এ সময় ওৎ পেতে থাকা লিটু মুন্সি তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে সিদ্দিক মুন্সি বাড়ীতে দৌড়ে চলে আসে। পরে তার বাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপরে কয়েকটি বাড়ীতে ভাংচুর করে। এতে ইমন মুন্সি, শাহীন মুন্সি, আতাহার খান, রিপন বেপারী, বাবুল তালুকদার, মিরুল তালুকদার, রাজিব তালুকদার, আনোয়ার মুন্সি, তুহিন মুন্সিসহ প্রায় ২০ জনের বাড়ীতে ভাংচুর করে।
এছাড়া ইউসুফ মোল্লার দোকান ও আতাহার খান এবং শাহীন মুন্সির মটরসাইকেল ভাংচুর করে। হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়। পরে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে সিদ্দিক মুন্সি বলেন, ‘লিটু মুন্সি ও আহাদ মুন্সি বাহিনীর হাতে গোটা এলাকা জিম্মি। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তাদের হাত থেকে আমরা মুক্তি চাই।’
ঘটনার পর থেকে লিটু মুন্সি ও আহাদ মুন্সিকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। তাদের ব্যবহারিত মোবাইলও বন্ধ পাওয়া গেছে। তাই তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান মিঞা জানান, ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। একপক্ষ থেকে অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
