বুধবার দুপুরে এমভি বাংলার সমৃদ্ধির ২৮ জন নাবিক ফিরে আসায় তাদের স্বজনরা যেখানে নিজেদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন, ঠিক সেখানেই হাদিসুরের পরিবারের শোকে ভারি হয়ে উঠেছে বিমানবন্দরের আকাশ।
গত ২ মার্চ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন হাদিসুর।
বিমানবন্দরে হাদিসুরের মা আমেনা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমি আমার বাবাকে (ছেলে) ফেরত চাই। সবাই ফিরল আমার ছেলে আসলো না। …আমি আমার ছেলেকে এখনো দেখিনি।’
হাদিসুরের বাবা আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, মা আমেনা বেগম এবং অন্যান্য স্বজনরা হাদিসুরের সর্বশেষ খবর এবং মরদেহের তথ্য পেতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করেন।
এ সময় তার বাবা কান্নায় ভেঙে পড়েন। হাতে থাকা ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আমার ছেলে। আমার পোলা আইলো নারে।’
হাদিসুরের মেজ ভাই গোলাম মাওলা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের জানাইতেছে না আমার ভাইয়ের লাশ কোন দিন দেশে আসবে। আমার বাবা–মা সবাই অপেক্ষা করতেছেন, তারা জানতে চান আমার কাছে। আমি কোনো জবাব দিতে পারতেছি না।’
জাহাজের ২৮ জন ক্রু আজ দুপুরে ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। হাদিসুরের মরদেহ এখনও ইউক্রেনে রয়েছে এবং তার মরদেহ দেশে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।