
শেখ মোঃ ইমরান।।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিক (Temporary Labour Recruitment – TLR) কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও ৩০ দিনের বেতন প্রদানের দাবিতে রেল উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর রেস ভবনে অবস্থিত রেলপথ মন্ত্রণালয়ে মাননীয় রেল উপদেষ্টা বরাবর এই স্মারকলিপি জমা দেন বাংলাদেশ রেলওয়ে টিএলআর ঐক্য ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপিতে জানানো হয়, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন বিভাগে — যেমন মেকানিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, সিগন্যালিং, ইলেকট্রিক্যাল ও ট্রান্সপোর্টেশন — খাতে অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বিপুল সংখ্যক টিএলআর কর্মী। তারা বছরের পর বছর রোদ-বৃষ্টি ও ঝুঁকি মোকাবিলা করে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেও এখনও পর্যন্ত স্থায়ীকরণের সুযোগ পাননি।স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের ২০০৩ সালের নির্দেশনা, মহাপরিচালকের ২০১৭ সালের চিঠি এবং ১৯৮৫ সালের বাংলাদেশ রেলওয়ে নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালার আলোকে আত্মীকরণ বা নিয়মিতকরণের বৈধ সুযোগ রয়েছে। অথচ সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
টিএলআর ঐক্য ফোরামের নেতৃবৃন্দ বলেন, “আমাদের অধিকাংশ কর্মীর বয়স ৩২ বছরের বেশি। এই বয়সে অন্য কোথাও চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়। তাই মানবিক ও সামাজিক নিরাপত্তার স্বার্থে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত আত্মীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।”
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, সংবিধানের ৫৫(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকার প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে দৈনিক মজুরি ভিত্তিক শ্রমিকদের স্থায়ী কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। সুতরাং এই অসহায় কর্মচারীদের জীবিকার নিশ্চয়তার স্বার্থে মানবিক বিবেচনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ রেলওয়ে টিএলআর ঐক্য ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফেরদৌস হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাওন, দপ্তর সম্পাদক মারুফ, এবং ঢাকা সেকশন আহ্বায়ক মোঃ সাব্বির হোসেন সায়েমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ রেল উপদেষ্টার প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, সরকার বর্তমান শ্রমিকবান্ধব নীতির অংশ হিসেবে টিএলআর শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী করে তাদের দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাবে।
