হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা নিহত, দাবি ইসরায়েলের


গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসেম বিগ্রেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে হামাস এখনো এই বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইসরায়েল জানায়, গাজা সিটিতে বিমান হামলায় হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু উবাইদা নিহত হন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ এক্স-এ পোস্ট দিয়ে সেনাবাহিনী (আইডিএফ) ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটকে ‘ত্রুটিহীন অভিযানের’ জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তবে হামাস এখনও তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেনি। ফিলিস্তিনি এই স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি এর আগে জানায়, আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় বহু সাধারণ নাগরিক নিহত ও আহত হন।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, ঘনবসতিপূর্ণ আল-রিমাল এলাকায় ওই হামলায় অন্তত সাতজন নিহত এবং ২০ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। গত শনিবারের এ হামলা এমন এক সময় হলো যখন গাজা সিটিতে বড় ধরনের স্থল অভিযানের আগে টানা বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
আবু উবাইদা ছিলেন হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের অল্প কয়েকজন শীর্ষ নেতার একজন। যারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণে হামলার আগের দিক থেকেই এখনো সক্রিয় ছিলেন।
শনিবারের হামলায় ছয়তলা একটি ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় একসঙ্গে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। হামলার লক্ষ্য ছিল একটি ফ্ল্যাট। এটি মূলত দাঁতের চিকিৎসকের চেম্বার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার পর লাখ লাখ ডলার সমমূল্যের টাকা উড়তে দেখা যায়। এর একটি বড় অংশ স্থানীয়রা নিয়ে গেলেও পরে হামাস তা উদ্ধার করে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আবু উবাইদা ছিলেন হামাস সন্ত্রাসী সংগঠনের জনসম্মুখের মুখপাত্র যিনি নিয়মিত হামাসের প্রচারণা চালাতেন।
গত কয়েক বছরে তিনি হামাসের সামরিক শাখার হয়ে ইসরায়েলবিরোধী বহু বক্তব্য দিয়েছেন। সবসময় মুখে ফিলিস্তিনি কাপড়ে ঢাকা আবু উবাইদা হামাস সমর্থকদের কাছে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে এক প্রতীকী ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন।
ধারণা করা হয়, বয়স প্রায় ৪০ বছরের কাছাকাছি এই নেতা গত শুক্রবার দেওয়া এক ভাষণে শেষবারের মতো বক্তব্য রেখেছিলেন। সেখানে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইসরায়েলি বন্দিদের পরিণতি হবে হামাস যোদ্ধাদের মতোই।
এসময় গাজা সিটিতে ইসরায়েলের পরিকল্পিত আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি।