রনি আহম্মেদ নিপুল,কালকিনি, (মাদারীপুর)
মাদারীপুরের ডাসারে কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে কু-প্রস্তাবে রাজি করতে না পেরে শ্রীলতাহানি করার চেষ্টা করে ২২ বছরের এক বখাটে যুবক। বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িঘরে ভাঙচুরসহ লুটপাট চালায়। ৬ আগস্ট বুধবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, উপজেলার ডাসার ইউনিয়নের পূর্ব খান্দলি গ্রামের মোঃ সোবাহান বেপারির মেয়ে সুরাইয়া আক্তার (২০) কে দীর্ঘদিন যাবত কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে একই এলাকার মোঃ জামাল ব্যাপারীর ছেলে মোঃ নিলয় বেপারী (২২)। সুরাইয়া আক্তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নিলয় বেপারী রাস্তা-ঘাটে সব সময় ইভটিজিং করতে থাকে। একপর্যায়ে সুরাইয়া আক্তার তার বাবাকে বিষয়টি খুলে বলে, পিতা সোবাহান বেপারী বখাটে নিলয় বেপারীর পিতা জামাল বেপারীকে ছেলের কুকর্মের কথা জানিয়ে নালিশ করে।
নালিশ করার পরেও বখাটে নিলয় বেপারী ক্ষিপ্ত হয়ে সুরাইয়া আক্তারকে শ্রীলতা হানি করার চেষ্টা করে। বিষয়টি টের পেয়ে সুরাইয়ার পিতা মোঃ সোবাহান বেপারী বখাটে নিলয় বেপারীকে বাধা দেয়। তখন বখাটে নিলয় একটি হকিস্টিক নিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে এতে করে সোবাহান বেপারী ও তার ছোট মেয়ে স্বর্ণা আক্তারকে (১৮) জখম হয়। এ সময় জীবন রক্ষার্থে ৯৯৯ এ ফোন দিলে তাৎক্ষণিক পুলিশ এসে উপস্থিত হয়। তখন পুলিশের উপস্থিতিতেই সুরাইয়া আক্তারের উপরে হামলা চালায় বখাটে নিলয় বেপারী এমনটাই অভিযোগ সুরাইয়া আক্তারের বাবা মোঃ সোবাহান বেপারীর। এতে করে সুরাইয়া আক্তার গুরুতর জখম হলে তাকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় অবস্থার অবনীত হলে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বখাটে নিলয়কে অপরাধী কর্মকাণ্ডে বাধা না দিয়ে উল্টো তার পরিবার হামলার সময় ভাই মোঃ নিশাত বেপারী (২২), শান্ত বেপারী (২৬) পিতা মোঃ মিজান বেপারী, মোঃ সবুজ বেপারী (৩০) পিতা মোঃ হাবিব বেপারী, এবং বখাটে নিলয়ের বাবা জামাল বেপারী (৬০) সহ নাম না জানা আরও অনেকেই মিলে সুরাইয়ার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে এবং লুটপট করে নগদ অর্থসহ স্বর্ণ অলংকার নিয়ে যায়। বর্তমানে মোঃ সোবাহান বেপারীর তার পরিবার নিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা কালকিনিতে আশ্রয় নিয়েছে। এ বিষয়ে ৭ই আগস্ট বৃহস্পতিবার সুরাইয়া আক্তার এর বড় বোন সুমাইয়া আক্তার ডাসার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং বুধবার সকালে কালকিনি মডেল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন।
এই ব্যাপারে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, তাদের অভিযোগ নেওয়া হয়েছে, আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি কিন্তু ঘটনা স্থানে কাউকে পাইনি। ভুক্তভোগীরা হামলার ভয়ে কালকিনি উপজেলায় অবস্থান করেন তা জানা ছিলো না। আমরা এই অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।