মাদারীপুর প্রতিনিধি।।
মাদারীপুরে প্রাইভেটকারসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ২ সদস্য গ্রেফতার করেছে মাদারীপুর পুলিশ। গত ৯ আগস্ট পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে চক্রটির মূল হোতা হামিদুল ও নন্দীপাড়া থেকে তার সহযোগী রাজিব কাজীকে গ্রেফতার করা হয়। এবং রবিবার দুপুরে মাদারীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের প্রেস ব্রিফিং করে মাদারীপুর পুলিশ। আটককৃত হামিদুল হাওলাদার (৩২) পটুয়াখালী সদর উপজেলার উত্তর হাজীখালী গ্রামের মৃত আওয়াল হাওলাদারের ছেলে ও রাজিব কাজী (২৮) একই উপজেলার নন্দীপাড়া গ্রামের জসীম কাজী ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংএ মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাদারীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাঈমুল হাছান নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে, ডিবির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হুদা এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুজন বিশ্বাস, এসআই সাকিব এর সমন্বয়ে গঠিত টিম পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে চক্রটির মূল হোতা হামিদুলকে গ্রেফতার করে। হামিদুলের দখল থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত প্রাইভেট কার ঢাকা মেট্রো গ: ১৪-১২২৮ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সময় আসামিদের ব্যবহৃত বিকাশ একাউন্টে ৪৯,৫০৮ টাকা ফ্রিজ করা হয়। অতঃপর নন্দীপাড়া থেকে তার সহযোগী রাজিব কাজীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের নিকট হতে ১ টি প্রাইভেট কার, বিকাশের ৪৯,৫০৮ টাকা, ১টি চাকু, ১টি হাতুড়ি ও ১টি প্লাস আটক করা হয়। এছাড়া পলাতক আসামি জিএমপি, গাজীপুর কর্তৃক গ্রেফতারকৃত মানিক মিয়া (৪০) ও সোহাগ মিয়া দুজনের বাড়ী ময়মনসিংহ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান,
আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যগণ পটুয়াখালী থেকে ময়মনসিংহ এবং ঢাকা থেকে কুমিল্লা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রোড ডাকাতি করে বেড়ায়। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি, দস্যুতা, অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন পনের ৭টার সময় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড এন্ড নিউট্রিশন বিভাগের ডীন শহিদুল ইসলাম ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে পূর্ব থেকে লেবুখালী বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাইভেট কারে যাত্রীবেশী ৩ জন ডাকাত ও ড্রাইভার এর সাথে উক্ত প্রাইভেট কারে উঠেন। গাড়িটি বরিশালের গৌরনদী এসে পৌঁছালে গাড়িতে থাকা ৪ জন দড়ি দিয়ে ভিকটিম শহিদুল সাহেবের হাত ও পা বেধে ফেলে। প্রতারক চক্র তার চোখ ও মুখ স্কচটেপে মুড়িয়ে দিয়ে মহাসড়কে বিভিন্ন জায়গায় চলতে থাকে। দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রথমে তার নিকট থাকা ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর তার স্ত্রীর মোবাইলে ফোন দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে আরও ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। রাত সাড়ে ১০টার সময় হাত পা বাধা অবস্থায় তাকে রাজৈর থানাধীন টেকেরহাটে ফেলে রেখে চক্রটি পালিয়ে যায়। এবং গত ১৯ জুন এই ঘটনায় রাজৈর থানায় একটি মামলা রুজু হয়। অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মামলাটি গোয়েন্দা বিভাগে ন্যস্ত করা হয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিকে শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতারে ঢাকায় একটি অভিযান টিম কাজ করলেও সুচতুর হামিদুলকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয় ডিবি টিম।
মাদারীপুরে প্রাইভেটকারসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ২ সদস্য গ্রেফতার
RELATED ARTICLES
Continue to the category